রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-১ নম্বরে প্রায় ৫০ বছর আগে গড়ে তোলা হয় ‘গুলশান শপিং সেন্টার’। গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ভবনটি ভাঙা নিয়ে নানান ঘটনা ও আইনি জটিলতা গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অবশেষে আদালতের অনুমোদন নিয়েই ভাঙা হচ্ছে এই শপিং সেন্টার। সেখানে তৈরি হবে নতুন ভবন। তবে গুলশান শপিং সেন্টারের পুরনো দোকান মালিকরা বলছেন, স্বেচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে দোকানের দখল ছেড়ে দেওয়ার সমঝোতায় যেতে হয়েছে তাদের।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক) থেকে গুলশানের ১৪, ৩৭, ৪১ এবং ৪৩ নম্বর প্লটে দুই বিঘার বেশি জমি ৯৯ বছরের জন্য বরাদ্দ নেয় ‘বাণীচিত্র’ও ‘চলচ্চিত্র’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি মূলত দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা করছে।
শুরুতে প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন আহমেদ ফজলুর রহমান। নকশা অনুমোদন নিয়ে তিনি পাঁচতলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করেন। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে দোকান হিসেবে পজিশন হস্তান্তর করেন তিনি। ফজলুর রহমানের মৃত্যুর পর উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তার ছেলে আহমেদ ফয়েজুর রহমান। তিনি ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে দুটি পৃথক সংশোধিত নকশা অনুমোদন করিয়ে ভবনটির ওপরে আরেকটি তলা নির্মাণ করে দোকান হিসেবে বিক্রি করেন।
ওই শপিং সেন্টারের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৬ সালে ‘বাণীচিত্র’ ও ‘চলচ্চিত্র’ প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে শান্তা হোল্ডিংসের চুক্তি হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষে শান্তা হোল্ডিংসকে আমমোক্তারনামা দেওয়া হয়। তবে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালের আগস্টে আমমোক্তারনামা বাতিলের বিষয়ে শান্তা হোল্ডিংসকে প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
এদিকে না জানিয়ে জমির মালিকপক্ষের সঙ্গে শান্তা হোল্ডিংসের চুক্তি হওয়ায় দোকান হারানোর আশঙ্কা করেন গুলশান শপিং সেন্টারের দোকান মালিকরা। তারা ২০০৭ সালে ‘বাণীচিত্র’ ও ‘চলচ্চিত্র’ এবং শান্তা হোল্ডিংসের মধ্যকার চুক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান গুলশান শপিং সেন্টার দোকান মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহম্মদ হাম্মাদ।
দোকান মালিকদের আপত্তি
দোকান মালিকদের দাবি, ১৯৭৭-৭৮ সালে এই মার্কেটের ভবন মালিক বা প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তখন জানতাম যে আমরাই দোকানের মালিক। কিন্তু ২০০৬ সালে আমাদের না জানিয়ে ভূমি মালিক ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান শান্তা হোল্ডিংসের সঙ্গে চুক্তি করে। ‘বাণীচিত্র’ ও ‘চলচ্চিত্র’-এর প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ ফজলুর রহমানের ওপর আস্থা রেখে রাজউককে বিষয়টি জানাইনি। মালিকও আমাদের কোনও দলিল দেয়নি। শুধু পজিশন উল্লেখ করে একটা করে কাগজ দিয়েছে। কিন্তু আমরা কখনও ওই কাগজ গুরুত্ব দিয়ে দেখিনি। এখন দেখতে পাচ্ছি আসলে ওই কাগজে আমাদের পজিশনের বিষয়ে স্থায়ীভাবে কিছু বলা হয়নি। এই সুযোগটিই নিয়েছেন ফজলুর রহমানের ছেলে প্রতিষ্ঠান দুটির বর্তমান এমডি আহমেদ ফয়েজুর রহমান। মালিক মারা যাওয়ার পর শান্তা হোল্ডিংসের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। এই চুক্তির কথা জানতে পেরে আমরা মালিকরা মিলে একটা সমিতি গঠন করে আদালতের আশ্রয় নিই।
এ বিষয়ে গুলশান শপিং সেন্টার দোকান মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির বর্তমান সভাপতি মোহম্মদ হাম্মাদ বলেন, ‘প্রথম ২০০৭ সালের মামলায় রায়ে বলা হয়েছিল, বিষয়টি সমাধান না করে দোকান মালিকদের সরানো যাবে না। মামলার রায় পেয়ে আমরা চুপচাপই ছিলাম। ভেবেছিলাম আমাদের আর সরানো যাবে না। নিজেদের ব্যবসা করছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের উচিত ছিল ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা। আদালতকে বলা যে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমাদের দোকানের মালিকানা বুঝিয়ে দিন, যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে পজিশন কিনেছি। পরে সমিতির কমিটিও বদল হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে আমরা আর আগাইনি। কিন্তু তলে তলে তারা (বাণীচিত্র লিমিটেড ও চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান) আগাতে থাকে।’
২০১৬ সাল থেকে দোকান মালিকদের উচ্ছেদের জন্য নানা প্রক্রিয়া শুরু হয় জানিয়ে মোহম্মদ হাম্মাদ বলেন, ‘২০১৬ সালে ভবনের কিছু অননুমোদিত নির্মাণকাজকে অজুহাত করে রাজউক থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এনে আমাদের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। আমরা বিদ্যুতের জন্য আদালতে যাই। আদালত থেকেও বলা হয়—এখানে অবৈধ নির্মাণ আছে এবং ভবন মালিক বিদ্যুৎ রাখতে চাচ্ছেন না। তখন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করি যে আমরা টাকা দিয়ে দোকানের পজিশন কিনেছি। এখন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত আমাদের পক্ষের রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, এ মামলার বাদীরাই দোকানের পজিশনের মালিক। তখন কোম্পানির (বাণীচিত্র ও চলচ্চিত্র) লোকেরা রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউর আবেদন করেন। তারা নিজেদের ভূমি, ভবন ও দোকানের মালিক দাবি করেন। এরপর মামলার শুনানি বারবার পেছাতে থাকে। ওই সময় আমাদের মামলা বিচারপতি এস কে সিনহার বেঞ্চে ছিল। উনি চলে যাওয়ার পর ওহাব সাহেব বিচারক হিসেবে আসেন। তখন তিনি বলেন, ‘এটা কোন আইনে আছে যে দোকান মালিকদের ভবন মালিক বানানো।’ তখন আমাদের পক্ষে থাকা রায়টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেলো।
শপিং সেন্টারের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি গুলশান শপিং সেন্টারের পাশে ডিএনসিসির কাঁচাবাজারে বড় ধরনের আগুন লাগে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ঘটনার পর গুলশান শপিং সেন্টারের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ওই বছরের ২৮ মে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কর্মকর্তারা গুলশান শপিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেন্টারের অগ্নিঝুঁকি সংক্রান্ত ১০টি ত্রুটি চিহ্নিত করেন। ত্রুটিমুক্ত করার জন্য সময় দিয়ে তখন ভবন মালিককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব ত্রুটি দূর করা হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এরপর ২০১৮ সালের ১১ জুন ভবনটি ‘ব্যবহার উপযোগী নয়’ বলে নোটিশ দেয় ফায়ার সার্ভিস। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেন গুলশান শপিং সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় দোকান মালিক সমিতি। তবে হাইকোর্ট থেকে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয় সিটি করপোরেশন ও রাজউককে। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনার পর ২০২১ সালের ২১ জুন গুলশান শপিং সেন্টার আবারও পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের একটি কমিটি। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ব্যবহার উপযোগী নয়’ বলে ভবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে বহাল থাকে ফায়ার সার্ভিস।
হুটহাট মার্কেটের এদিক-ওদিক আগুন
শপিং সেন্টারের দোকান মালিকদের উচ্ছেদের উদ্দেশ্যেই ডিএনসিসির কাঁচাবাজারে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে বলে দাবি মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির। সমিতির সভাপতি মোহম্মদ হাম্মাদ বলেন, ‘এরপর হুটহাট মার্কেটের এদিক-ওদিক আগুন লাগা শুরু হলো, যাতে গুলশান শপিং সেন্টারকেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রমাণ করা যায়। আমাদের ধারণা, ২০১৭ সালে যখন কাঁচাবাজারে আগুন লাগে, সেটারও নেপথ্যে ছিল মূলত আমাদের ধ্বংস করা। তারপর আমরা আগুন থেকে প্রতিকার চাইলাম। তারা আগুনকে কেন্দ্র করে মামলা করলো। আমরা তার বিরুদ্ধে আদালতে গেলাম। আদালত থেকে বলা হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) ফয়সালা করতে। সেখানেও সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। অর্থাৎ টাকা-পয়সার কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি। ২০১৮ ফায়ার সার্ভিস থেকেও আমাদের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলো। তখন আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করি। ২০২০ সালে সে মামলায় আমরা হেরে গেছি।’
সমঝোতায় সমাধান
আইনি লড়াইয়ে টিকতে না পেরে ২০২১ সালে সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেন গুলশান শপিং সেন্টারের দোকান মালিকরা। এই সমঝোতায় সিদ্ধান্ত হয়—দোকান মালিকরা নিজ নিজ পজিশন ও দোকানের আকার (সাইজ) অনুযায়ী ওই পরিমাণ অর্থ পাবেন। এরপর অনেকেই ডেভেলপার কোম্পানি শান্তা হোল্ডিংসের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে দোকানের দাবি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে কেউ কেউ অর্থ না নিয়ে নতুন ভবনে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।
গুলশান শপিং সেন্টার দোকান মালিকদের মুখপাত্র মোহম্মদ হাম্মাদ বলেন, ‘এত কিছুর পর যখন আমরা আর পারছিলাম না, তখন আমাদের সিনিয়ররা পরামর্শ দিলেন আপসে যাওয়ার জন্য। তা না হলে হয়তো আবারও নানাভাবে অথবা আগুন লাগিয়ে জানমালের ক্ষতি করে আমাদের উঠিয়ে দিতে পারে। তার চেয়ে দোকানের বদলে অর্থের পরিমাণ কম হোক বেশি হোক—আমরা শান্তা হোল্ডিংসের সঙ্গে একটা সমঝোতায় গেলাম। সিদ্ধান্ত হয়, তারা জমির মালিকের পক্ষ থেকে আমাদের ২০০ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে। ইতোমধ্যে আমরা ১৮০ কোটির মতো বুঝে পেয়েছি। বাকিটাও তারা দিয়ে দেবে। কোনও কোনও দোকান মালিক নতুন করে বরাদ্দ নেওয়ার জন্য বলছেন, আমরা তাদের বিষয়টাও দেখছি। ২০২১ সালে আমরা এই সমঝোতা করি। এর মাঝে কিছু সময় লেগেছে আমাদের সবকিছু ঘুচিয়ে নিয়ে যেতে।’
এদিকে ২০২৩ সালের রোজার ঈদের পর ভবন ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ব্যবসায়ীরা ভবন না ছাড়ায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ও মাহবুব হাসান ওই বছরের ১৩ জুলাই গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করে দেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভবন ছাড়তে না চাওয়া ব্যবসায়ীরা গুলশান-১ নম্বর মোড় অবরোধ করেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।
তবু আক্ষেপ ব্যবসায়ীদের
সমস্যার সমাধান হলেও দীর্ঘদিনের গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। ২৪ জানুয়ারি সরেজমিন দেখা যায়, গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তে নিরুপায় হয়ে দোকান খালি করে দিয়ে মালামাল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মালিকরা। সবার চোখে-মুখে বিষণ্নতার ছাপ।
কথা হয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের সঙ্গে। ৪৪ বছর ধরে এই মার্কেটে গিফট আইটেমের ব্যবসা করেছেন তিনি। আনিসুর বলেন, ‘তুষার কালেকশন’ নামে গিফট আইটেমের দোকান ছিল আমার। দোকানটা নিয়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলাম। এখন আর নতুন করে অন্য কোথাও দোকান করার আগ্রহ নেই। আর ব্যবসাই করবো না।
দোকানের মালপত্র বের করে নিচ্ছিলেন দুই ভাই। এই মার্কেটে তাদের রেস্টুরেন্টটির নাম ছিল ‘গুলশান কুইজিন’। শপিং সেন্টারের নিচতলায়। তাদের বাবা এখানে এই রেস্টুরেন্ট চালু করেছিলেন। পরে দুই ভাই ব্যবসার হাল ধরেন। বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে ভবন করলে অনেক জায়গা ছেড়েই করা হবে। তখন নতুন করে দোকান বরাদ্দ পাওয়াটা কঠিন হবে। তাই একটা নেগোসিয়েশনে যাওয়াটাই ভালো মনে হয়েছে।
রাজধানীর ১৩শ’ মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, রাজধানীতে এক হাজার ৩০৫টি শপিং মল ও মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৬২২টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৬৭৮টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এসব শপিং মলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক বা কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ এসব শপিং মল বা মার্কেট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দিয়ে সতর্ক করলেও তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।
২০১৭ সালের ১২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর শপিং মল ও মার্কেট পরিদর্শন করে একটি তালিকা তৈরি করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। একই বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ওইসব মার্কেট পরিদর্শন করে সংস্থাটি। তারা এক হাজার ৩০৫টি শপিং মল ও মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায়। গুলশান শপিং সেন্টারের নামও ওই তালিকায় আছে।