স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণ করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো তারাও (স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পেলেও ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তেমন কোনও বেতন পান না। ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আড়াই হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষক ২ হাজার ৩০০ টাকা পান। বাকি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষকরা ৩৯ বছর ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর আমাদের দাবির কথা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করলে তিনি চার মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। কিন্তু এরপর দুই বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের দাবি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আজ আমরা মানববন্ধন করতে বাধ্য হলাম।
তাদের সাত দফা দাবি হলো–
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রাইমারির মতো জাতীকরণ করা; প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলোকে অবিলম্বে কোড নম্বরের অন্তর্ভুক্ত করা; প্রাথমিক শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসর শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির পদ সৃষ্টি করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে ছিলেন– সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান, মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম ফরাজী, বশির উল্লাহ আতাহারী, সামছুল আলম, মাহমুদুল হাসান, আ. রহিম, মো. আলামিন প্রমুখ।