বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় একের পর এক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীদের মতে, কলকাতার নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরেই বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আনোয়ারুল আজীম আনারকে।
গ্রেফতার সিয়াম হোসেন পুলিশকে জেরায় জানিয়েছে, আনারকে খুন করার পর অভিযুক্তরা তার দেহ কেটে কয়েকটি ছোট ছোট টুকরা করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে নিউ টাউন এলাকা ও বাগজলা খালের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়ে গোপন আস্তানায় পালিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের আরও দাবি, সংসদ সদস্যের দেহের কিছু অংশ ট্রলি স্যুটকেসে ঢুকিয়ে বাংলাদেশ সংলগ্ন বনগাঁ সীমান্তের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। নেপালে ধৃত সিয়াম পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সেখানে এক নারী ছিল যে অন্য অভিযুক্তদের শ্বাসরোধ করে খুন করতে সহায়তা করে। ওই নারী এই খুনের ঘটনার পেছনে ছিল বলে জানা গিয়েছিল আগেই। ওই নারী আনার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহিনের বান্ধবী।
গত ১৮ মে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর থেকে নিখোঁজ হন ওই বাংলাদেশি সংসদ সদস্য। ২২ মে ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা তাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ৯ জুন এক অভিযুক্তকে সিআইডি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাগজলা খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা একজন ‘পুরুষ মানুষের’ হাড়গোড় উদ্ধার করে। দুই দিন পর জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার ওই অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কয়েক কিলো নরমাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, ওই মাংস কোনও মানুষের। আমরা এখন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হবো যে এটি বাংলাদেশের এমপি আনারের কিনা। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে,' বলেন সিআইডির এক কর্মকর্তা।