রাজধানীর কদমতলী এলাকার মাদকের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মাদক করবারি জরিনার প্রধান সহযোগীসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (৯ জুন) মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) দিনব্যাপী এ সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় মাদক সেবনের অভিযোগে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে ডিএনসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ডিএনসির একাধিক টেম কদমতলী এলাকার বিভিন্ন মাদক স্পটে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মাদক কারবারি ও একাধিক মামলার আসামি জরিনা বেগম ও তার মেয়ে তানিয়া পালিয়ে গেলেও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো নদী (৫০), ফরিদা (৫৫), কুলসুম বেগম (৪০) ও রাবেয়া খাতুন ৫৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা, ২৫০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কদমতলীতে কুখ্যাত মাদক কারবারি জরিনার আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় তার দুই ছেলে রাব্বি (২৫) ও মো. রোহান নেতৃত্বে (২২), ও মেয়ে তানিয়ার (২৪) নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৭৫ জন নারী ও পুরষ ইটপাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে ডিএনসির সিপাই হাফিজুর রহমান গুরুতর আহত হয় এবং জরিনা আক্তারকে (৫৬) তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পলাতক মাকদ কারবারিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।