গোপালগঞ্জে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ক্রোক করা সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় সার্বিক তদারকির জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয় সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুদকের মানিলন্ডারিং শাখার উপ-পরিচালক মো. নূর-ই-আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ কমিটির কথা জানানো হয়।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমকে কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমানকে। অন্য সদস্যরা হলেন— গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গণপূর্ত অধিদফতরের ও জেলা আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট।
চিঠিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জের আওতাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কসহ ক্রোক করা সকল সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকি ও রিসিভাররা রিসোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রমসহ যাবতীয় বিষয়াদি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকির লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়। চিঠিতে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য অনুরোধ করা হয়।
সবশেষ বুধবার আদালত বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা আরও আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। এসব ফ্ল্যাট ঢাকার বাড্ডা ও আদাবরে এবং জমি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরায়। একইদিন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯ কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তাছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেন আদালত। সব মিলিয়ে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৯৭ বিঘা জমির তথ্য পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত। যার সবগুলোই ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।