সরকারি চাকরিতে কোটাবৈষম্য নিরসনে কোটা আন্দোলনকারীদের চলমান এক দফা দাবি আদায়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণপদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), অধিভুক্ত সাত কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কোটা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের গণপদযাত্রা শুরু করেন। বেলা ১২টার দিকে ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণপদযাত্রা শাহবাগ-মৎস্য ভবন-হাইকোর্ট-শিক্ষা ভবন-জিপিও ও সর্বশেষ গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মোড়ে এসে পুলিশ ব্যারিকেড মিছিলটি আটকে পড়ে। পরে তাদের ১২ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে।
কোটা আন্দোলনকারীদের চলমান আন্দোলনে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানারে ঢাকার প্রায় ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল গণপদযাত্রায় অংশ নেয়।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের একদম শুরু থেকেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আসছি। আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে ১০ জুলাই থেকে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে রামপুরা ব্রিজ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রাষ্ট্রপতি বরবার স্মারকলিপি প্রদান ও গণপদযাত্রায় আমাদের উপস্থিত জানান দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবি ব্যক্ত করা হয়েছে, আমরাও সেই দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জানে আলম অপু বলেন, ‘যথাযথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে সার্বিক পর্যালোচনা করে সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাই। আমাদের দাবি কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে সব গ্রেডে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সম্মিলিতভাবে অংশ নেবে।’