দেশের বায়ুমানের উন্নয়ন এবং কার্যকরভাবে দূষণরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের বায়ুর গুণমান সূচকে ধীরে ধীরে ভালো এবং সহনীয় বায়ুর বার্ষিক দিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের বায়ুদূষক পিএম ২ দশমিক ৫ বার্ষিক গড় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্তর্বর্তী লক্ষ্যমাত্রা এবং দেশের জাতীয় মানমাত্রা অর্জন এবং দক্ষিণ এশিয়া ক্লিন এয়ার ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহযোগিতায় প্রণীত জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, এ পরিকল্পনার ফলে চলমান, নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট উৎস এবং চিমনিসহ স্থায়ী উৎস হইতে নিঃসরিত বায়ুর কার্যকর ব্যবস্থাপনা; গৃহাভ্যন্তরীণ বায়ুমানের কার্যকর ব্যবস্থাপনা; ঝুঁকিপূর্ণ দূষক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা; বায়ুমান ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম চর্চাগুলোর স্বীকৃতি ও প্রচার সহজ হবে। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন শক্তি, শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, গ্যাসীয় নিঃসরণের সাথে সম্পর্কিত জ্বালানির গুণগতমান; বায়ুমান পরিবীক্ষণ; বায়ুমানের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, গবেষণা, ব্যবস্থাপনা, এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা জোরদার হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাসসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় খসড়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু এবং পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল হক।