প্রায় শতাধিক আইনজীবীর অংশগ্রহণে তলবি সভার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের বাকি মেয়াদের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক হিসেবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার) মিলনায়তনে বারের সাবেক সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী এ কমিটির ঘোষণা দেন।
কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধা, ট্রেজারার পদে রেজাউল করিম রেজা, সহ-সম্পাদক পদে মো. মাহফুজুর রহমান (মিলন) ও মো. আবদুল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সদস্য হিসেবে সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, এবিএম ইব্রাহিম খলিল, ফাতেমা আক্তার, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহি উদ্দিন মো. হানিফ ও রাসেল আহম্মেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির চার আইনজীবী নেতা সুপ্রিম কোর্ট বারের কার্যনির্বাহী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ব্যারিস্টার কাজলসহ অন্যরা ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা বিতর্কিত নির্বাচন আখ্যা দিয়ে ভোট গণনায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
পরে ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী বলেন, এই কমিটি অবিলম্বে দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং এই সমিতির ২০২৪-২৫ এর কার্যনির্বাহী কমিটি হিসেবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সবার সমর্থনে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তটি পাস ও অনুমোদিত হলো।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী বিএনপির অন্য তিন আইনজীবী হলেন, সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে বিজয়ী সম্পাদকসহ অন্য ৯ জন হলেন, সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহ-সভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব)। সদস্য পদে বিজয়ী চারজন হলেন, রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন)।
তবে জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।