X
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২

লাল-সবুজ বাতি নিয়ে ফিরছে ট্রাফিক পুলিশ

আরমান ভূঁইয়া
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:৫৯আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০৯

রাজধানী ঢাকার চিরচেনা চিত্র যানজট। ঢাকা শহরে প্রতিদিনই বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা। সে তুলনায় বাড়ছে না সড়ক কিংবা রাস্তার গতিপথ। সড়ক দখল, রাস্তার অব্যবস্থাপনা এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের প্রবণতাকে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীতে যানজট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যানজট নিরসনে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই বিশেষজ্ঞের সহায়তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আসছে পরিবর্তন। ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে প্রায় দেড় যুগ আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সিগন্যালে লাল-সবুজ লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হার্ডলাইনে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।

চলতি বছর থেকেই ট্রাফিক সিগন্যালে বসছে লাল-সবুজ বাতি। পাশাপাশি সড়কে অব্যবস্থাপনা রোধে ট্রাফিক পুলিশের ইনফোর্সমেন্ট, অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ, দখলমুক্ত ইন্টারসেকশন (সিগন্যাল মোড়), নির্দিষ্ট বাস স্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামাসহ বিশেষজ্ঞদের ছয়টি সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে বুয়েটের দুই জন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে ট্রাফিক পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সমন্বয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে সরকার। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাদিউজ্জামান ও অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের দেওয়া ছয়টি সুপারিশের ভিত্তিতেই যানজট নিরসনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

ঢাকার যানজট নিরসনে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সুপারিশগুলো হচ্ছে- এক. মূল সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা (ব্যাটারি ও প্যাডেল) সরাতে হবে। দুই. পুলিশের সাধারণ কার্যক্রম ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে হবে। তিন. ছোট যেসব ইন্টারসেকশন (মোড়) আছে, সেখানে সিগন্যালের সময় সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর বড় ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের বেশি দেওয়া যাবে না। চার. ছোট ইন্টারসেকশনের ৫০ মিটার ও বড় ইন্টারসেকশনের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও গাড়ি পার্ক করা, যানবাহন দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না এবং কোনও ধরনের স্থাপনা থাকা যাবে না। পাঁচ. ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও দুই সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না এবং এসব স্টপেজে একটার পাশে আরেকটা বাস দাঁড়ানো যাবে না। ছয়. ঢাকা শহরে ট্রাফিক পুলিশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে, এই বিভাগগুলোর প্রতিটিতে একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। এই মোবাইল টিমে প্রশিক্ষিত একজন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার, একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা, ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থাকবেন। তাদের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে সমস্যা দেখা ও সেগুলো সমাধানে কাজ করা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাল-সবুজ বাতির মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের মূল কাজ করার সময় পাবেন। আসলে সনাতন পদ্ধতিতে সিগন্যাল ছাড়া ও বন্ধ করা ট্রাফিক পুলিশের কাজ না। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং চালক ও পথচারীদের সড়ক বিধি মেনে চলাচলের ওপর জোর দেওয়া তাদের কাজ। অথচ হাত দিয়ে রাস্তায় নেমে এসে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তারা সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছেন।

জানা যায়, ‘সমস্যাভিক্তিক সমাধান’ পদ্ধতিকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে এর আওতা হবে হাইকোর্ট থেকে কাকরাইল, শাহবাগ, কাওরান বাজার ও মহাখালী হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত। এই রুটে মোট ২৯টি সিগন্যাল পয়েন্ট নিয়ে কাজ করা হবে।

ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তিনি

অধ্যাপক ডা. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট সব কাজ হয়েছে প্রকল্প বা প্রজেক্টভিত্তিক। যার ফলে প্রকল্পের টাকা ও সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। আমরা বলছি এটা কোনও প্রকল্প নয়, এটা হলো সমস্যাভিক্তিক সমাধান। এ ধরনের প্রজেক্টে কোনও খরচ নেই। বলা চলে বিনা খরচে সমস্যা সমাধান করা।’

তিনি বলেন, ‘এই কাজে ট্রাফিক পুলিশ, দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন। তাদের কাজের জন্য আলাদা করে কোনও বরাদ্দ বা খরচ নেই। বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি টিম কাজ করছে। তারাও টাকার নয়, দেশের হয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন।’

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ট্রাফিক সিগন্যালে যেসব সড়ক বাতি স্থাপন করা হচ্ছে সেগুলো আমাদের দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে করা হচ্ছে। যার ফলে ইকুইপমেন্টের খরচ খুবই কম। যদিও আয়ুকাল বেশি হবে। তবে নষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করা যাবে। বিদেশ থেকে আনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।’

বুয়েটের মাধ্যমে সিগন্যাল বাতির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে খরচ কম হবে, আর দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সিগন্যাল তৈরির জন্য বুয়েট প্রতিটি সিগন্যাল বানানো, ইনস্টল করার জন্য সাড়ে ১০ লাখ টাকা ও মাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেড় লাখ টাকা চেয়েছে। এই সিগন্যাল এআইভিত্তিক (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) নয়। এটা সেমি অটোমেটিক করা হয়েছে। এখানে চাইলে সময় নির্ধারণ করা যাবে, যেটি ট্রাফিক পুলিশ রিমোট ব্যবহার করেই করতে পারবে। আবার পিক আওয়ারে পরিবর্তন করা যাবে। যাতে করে সময় উপযোগী হিসাবে ব্যবহার করা যায়।’

এদিকে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের একটি দল এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমসহ সাত জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী মিজানুর রহমানসহ দুই জন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাইনুল হাসানসহ চার জন, ডিটিসিএর প্রধান নির্বাহী নীলিমা আক্তারসহ তিন জন সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে পাইলট প্রজেক্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নভেম্বর থেকে সিগন্যাল লাইট স্থাপন করে সড়কে ভিজুয়াল কাজ দেখা যাবে। এরইমধ্যে রাজধানীর অনেক ইন্টারসেকশনে (সিগন্যাল মোড়) ডাইভারশনের মাধ্যমে চার রাস্তার মোড়ের ওপর চাপ কমানো হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে ইন্টারসেকশনের অবৈধ স্থাপনা। আবার অনেক জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কঠোর অবস্থানও দেখা গেছে। অবৈধ যানবাহন ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে আছে গাড়ি

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা ছয়টি সুপারিশ নিয়ে কাজ করছি। প্রথম চারটি সুপারিশ নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বাকি দুটি সুপারিশের বিষয়ে কাজ চলছে। ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ে পাইলট প্রজেক্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। আর মোবাইল টিমও গঠন হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লাল-সবুজ বাতির মাধ্যমে যখন ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা চলবে, তখন আমাদের পুলিশ সদস্যরা আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে পর্যায়ক্রমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’

ডিএমপিতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘এখন আমরা সিগন্যাল ধরার কাজ করছি। একটি ইন্টারসেকশনে চারটি রাস্তার গাড়ি থামাতে চার থেকে আটজন পুলিশ সদস্যকে থাকতে হচ্ছে। সিগন্যালগুলো যখন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তখন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মূল কাজ করার সুযোগ বাড়বে। এতে যানবাহনগুলো নিয়মের মধ্যে চলাচল করবে। শুধু দিনে নয়, রাতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধেও এটি কাজ করবে। সবাই যখন সিগন্যাল লাইট অনুসরণ করবে তখন রাত-দিন সব সময় এটি কাজ করবে।’ সিগন্যাল বাতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ট্রাফিক সিগন্যালে আগে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো দেশের বাইরে থেকে আনা। এগুলোর খরচ অনেক বেশি, আবার নষ্ট হলে সেগুলো ঠিক করতে অনেক অপেক্ষা সময় করতে হচ্ছে। এভাবে সিগন্যালগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে। বুয়েটে তৈরি করার ফলে একদিকে খরচ অনেক কমছে, অন্যদিকে নষ্ট হলে দ্রুত ঠিক করা যাবে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।

বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিক আওয়ারে ঢাকায় অটোমেটেড সিগন্যাল কাজ করবে না। যারা অতীতে এসব সিগন্যাল এনে কাজ করেছে, সেটা আসলে বিজ্ঞানের সঙ্গে যায় না। কারণ, গাড়ির সংখ্যা যখন বেশি হবে, তখন ম্যানুয়ালি কাজ করতে হবে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহরেও পিক আওয়ারে হ্যান্ড সিগন্যাল ব্যবহার হয়। পাইলট প্রকল্পে সিগন্যাল দুইভাবে কাজ করবে- একটি ম্যানুয়াল, অন্যটি অটোমেটেড।

ঢাকার গণপরিবহনের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো মেট্রোরেল। তবে এটি সুদূরপ্রসারী প্রকল্প। একটি মেট্রোরেল হয়েছে, আরও দুটি ২০২৭ সালের মধ্যে হওয়ার কথা। বাকি সব জায়গায় বাস চলাচল করে। এ জন্য বাস রুটকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সরকারকে একটি কোম্পানি গঠন করতে হবে। ঢাকা শহরে এই কোম্পানির বাইরে কোনও বাস চলতে পারবে না। এখন বেসরকারি যেসব বাস রয়েছে, তারা হয় এই কোম্পানির কাছে বাস দিয়ে অংশীজন হবে, নয়তো কোম্পানির কাছে বাস বিক্রি করে দেবে। প্রাথমিকভাবে এসব বাস উন্নত করা হবে। এই কোম্পানির আওতায় চলা সব বাসের মান হবে মেট্রোরেলের বগির মতো। যখন সবাই দেখবে নিজের যানবাহনের চেয়ে বাস আরামদায়ক ও দ্রুত যাওয়া যাচ্ছে, তখন সবাই অন্য গাড়ি রেখে বাসে চলাচল করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।

/আরআইজে/
সম্পর্কিত
বাংলামোটরে ককটেল বিস্ফোরণ
টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা
জুলাই আন্দোলন: নেত্রীদের বয়ানে নারীদের অবদান ও বিস্মরণের গল্প
সর্বশেষ খবর
ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪ দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প
ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪ দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প
ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত
ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত
সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলো বিএসএফ
সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলো বিএসএফ
আজ শেষ হচ্ছে হজের ফ্লাইট, দেশে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
আজ শেষ হচ্ছে হজের ফ্লাইট, দেশে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সর্বাধিক পঠিত
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ সরকারি চাকরিজীবীকে ওএসডি
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ সরকারি চাকরিজীবীকে ওএসডি
বেশির ভাগ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ফিকশন পাওয়া যায়: গভর্নর
বেশির ভাগ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ফিকশন পাওয়া যায়: গভর্নর
আবার আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
আবার আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
বগুড়ায় ঘরে ঢুকে শ্বশুর ও গৃহবধূকে হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগ
বগুড়ায় ঘরে ঢুকে শ্বশুর ও গৃহবধূকে হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগ
কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা: তাজুল
কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা: তাজুল