পশুপাখি ও কুকুর হত্যার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া সরাসরি মামলা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনও আদালত এই আইনের অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না— ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইনের এমন বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে এক আইনজীবীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তৌফিকুল ইসলাম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল কবির।
এর আগে, ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইনের ১৮ ধারার (সঙ্গে ২ ধারার ৪ উপধারা) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তৌফিকুল ইসলাম খান। এ ধারায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনও আদালত এই আইনের অধীন কোনও অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করবেন না।
আর ২(৪) ধারায় বলা হয়, কর্তৃপক্ষ অর্থ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক বা তার কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অধিদফতরের কোনও ভেটেরিনারি সার্জন।
পরে আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ শুধু প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দায়ের করবে— এমন বিধান করে সব নাগরিকের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আমরা প্রায়ই দেখি, বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রাণীকে মারা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর বিচার হচ্ছে না। কারণ কোনও নাগরিক অভিযোগ দিলে সেটা আদালত বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে অধিদফতর এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিনা তার নজির দেখিনি। তাই এটা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ কারণে আইনের এমন বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। রিটে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কুকুর ও বিড়াল মারার সংবাদ সংযুক্ত করেছি।’