ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ এবং জেসিআই ঢাকা মেট্রো-এর যৌথ উদ্যোগে ‘এনভায়রনমেন্ট ইনোভেশন সামিট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘পরিবেশ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মানুষ, জীববৈচিত্র্য, পৃথিবী ও বাংলাদেশের স্বার্থে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনও একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং আগামীর পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে দায়িত্ববোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সকালে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মারটিনেজ ব্যাকস্ট্রম। অনুষ্ঠানে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর শরীফ জামিল, গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি এবং দ্যা ডেইলি স্টারের এনজিও ও ফরেন মিশন বিষয়ক ইনচার্জ তানজিম ফেরদৌস বিভিন্ন সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ৭০টি পরিবেশ সংগঠনের চার শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন। এতে জলবায়ু সহনশীল নানা উদ্ভাবন ও কাজের জন্য ৯ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, বৃক্ষ বিষয়ক কন্টেন্ট নির্মাতা উম্মে কুলসুম পপি ও আবু সাঈদ আল সাগর, ধরিত্রীর জন্য আমরা-এর সদস্য সচিব শরীফ জামিল, ইয়ুথ নেটের সোহানুর রহমান ও এখন টিভির বিশেষ প্রতিবেদক মাহমুদ রাকিব।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন, ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার, এসিআই এগ্রো বিজনেস, শৈলবৃক্ষ এবং বায়োফার্মা লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে ‘ঢাকা: এ সিটি অব প্রবলেমস অ্যান্ড হোপস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।