দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণা করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘১১-২০ গ্রেডধারী সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরাম’। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন ১১-২০ গ্রেডধারী সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরামের সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম। দাবিগুলো হলো–
১. দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন করে চলমান বেতন বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে নবম পে-স্কেল ঘোষণা ও বর্তমান বাজারব্যবস্থা অনুযায়ী পে-স্কেল দেওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া, গ্রেড সংখ্যা কমানো এবং নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন কমিটিতে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ প্রচলিত অসঙ্গতিপূর্ণ নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নীত করাসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৩. ব্লকপোস্ট প্রথা বিলুপ্ত করে সব পদে সমহারে পদোন্নতি দেওয়া, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করতে হবে।
৪. সব দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে কর্মরত-কর্মচারীদের সচিবালয়ের মতো পদ-পদবী ও গ্রেড দেওয়া এবং বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, টিফিন ভাতা, যাতায়াত ভাতা শিক্ষা ভাতাসহ সব ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. পেনশনের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ করা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত সবাইকে ঝুঁকিভাতা দেওয়া, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত সবাইকে টেকনিক্যাল স্কেল দিতে হবে। অতিরিক্ত কাজের জন্য অভারটাইম ভাতা দেওয়াসহ ১০০ শতাংশ পেনশন সমর্পণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রচলিত প্রহসনের ৫০ টাকা রেশনভাতা বাতিল করে ১১-২০ গ্রেডের সব কর্মচারীদের বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– কার্যকরী সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কুদ্দুস মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম হোসেনসহ বিভিন্ন দফতর ও অধিদফতরের প্রতিনিধিরা।