অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের ‘প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহার করার দাবি করা হয়েছিলো। এ দাবিকে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে, নিন্দা জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।
শনিবার (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কাম্য নয়। হেফাজত কখনও কারও ‘প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। হাজী শরীয়তউল্লাহ ও শহিদ তিতুমীর গণমানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার লড়াইয়ের যে পথ দেখিয়েছিলেন, তার উত্তরসূরি শাপলার চেতনা। বিপরীতে ন্যায়বিচার ধ্বংস করে সময় ইসলাম নির্মূলের বাসনায় মেতে উঠেছিলো শাহবাগী ফ্যাসিবাদ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারই প্রতিবাদে শাপলা চত্বরে হেফাজত গিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত কতিপয় নাস্তিক-মুরতাদের বিচারের দাবি নিয়ে। যারা রাসূলের (সা.) শানে কটূক্তি ও বেয়াদবি করেছিল। তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার হেফাজতের দাবি-দাওয়ার কোনও তোয়াক্কা না করে উল্টো গণহত্যা চালায়।
মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাপলা চত্বরের অনুপ্রেরণায় প্রায় ৭৭ জনের বেশি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহিদ হন। কিন্তু শাহবাগীরা সব সময় আধিপত্যবাদী দিল্লির এজেন্ট এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কায়েমের দেহরক্ষী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখনও তারা দেশের আলেম-ওলামা, তৌহিদী জনতা ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের প্রতিবিপ্লবের যে কোনও ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়া হবে।