এবারের ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে স্বস্তি নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। শেষ সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর তেমন ভিড় দেখা যায়নি, বেশিরভাগ ট্রেন খালি আসন নিয়েই ছেড়ে গেছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, এবারের ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। স্টেশনে আগেভাগে এলেও অতিরিক্ত ভিড় বা বিশৃঙ্খলার মুখে পড়তে হয়নি। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ কয়েকজন যাত্রী বলেন, "আমরা ভিড়ের আশঙ্কায় আগে এসেছি, কিন্তু এসে দেখলাম পরিবেশ অনেক স্বস্তিদায়ক। টিকিটধারীরাই নির্বিঘ্নে ট্রেনে উঠতে পারছেন।"
রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রেন ছাড়ার আগে টিটিইরা টিকিট যাচাই করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বেশিরভাগ ট্রেন ছেড়ে গেছে। রাত পৌনে ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসন খালি নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা করে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, "আমি ভাবছিলাম ট্রেন পেতে কষ্ট হবে, কিন্তু স্টেশনে এসে দেখলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ট্রেনে উঠতে কোনও ঝামেলা হয়নি, সময়মতো ছাড়ার বিষয়টিও স্বস্তিদায়ক।"
অন্য এক যাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, "অন্যান্য বছর ট্রেনযাত্রা বেশ কষ্টকর হলেও এবার ব্যতিক্রম। ভিড় কম ছিল, ট্রেনের পরিবেশও ভালো ছিল। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারছি, এটি সত্যিই আনন্দের।"
এরআগে রাত ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে মহানগর এক্সপ্রেস এবং রাত ৯টায় দ্রুতযান এক্সপ্রেস স্টেশন ছাড়ে। রাত ১২টার দিকে সর্বশেষ ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ৫০টিরও বেশি ট্রেন ছেড়ে গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, "শেষ ভালো তো সব ভালো। এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেন চলাচল স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে গতকাল পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। আজকের সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ছেড়ে গেছে, অনেকগুলো ট্রেন খালি আসন নিয়েই যাত্রা করেছে।"
এদিকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দিনে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।