গাজীপুরের কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আট বছরের শিশুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন, শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
শিশুটির জন্মের আগেই তারা বাবা তাদের ফেলে অনত্র চলে যায়। তার মা, বাসা বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে নির্যাতনের শিকার শিশুটি সবার ছোট।
সে জানায়, একই বাড়িতে থাকা খালাতো ভাই ইয়াছিন (৪০) তাকে প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতো। সে ভয়ে কিছুই বলতো না।
শিশুটির মা বলেন, আমি কাজের কারণে বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকতাম। মেয়েটি কখনও আমাকে কিছু বলেনি। ইয়াসিন আমার বোনের ছেলে, সে বিবাহিত। স্ত্রী-সন্তান সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সে খুবই খারাপ, তাকে ভয় হয়। সে মাদকসেবী।
শিশুটির বড় ভাই অভিযোগ করেন, ইয়াসিন বিরুদ্ধে মাদকের কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কালীগঞ্জের শশি মার্কেটের পাশে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দেয়ালে লাগিয়ে দেয়। সে সময় বাসার সামনে থাকা ওই শিশু আহত হয়। পরে ওই প্রাইভেটকারের চালক শাহাদাতসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে থেকে রাতে শিশুটির মাসহ স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে শিশুটিকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। সেই বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামান্তা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুটির মুখমণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার যৌনঅঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়।
ডা. সামান্তা বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, শিশুটি দুর্ঘটনা আগে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। বিষয়টি শিশুটির পরিবারকে জানানো হয়। পরে তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারকে (ওসিসি) জানানো হয়।
এ বিষয়ে ওসিসির ভারপ্রাপ্ত কো-অরডিনেটর ডা. তাইয়েবা সুলতানা বলেন, ওই শিশুর বিষয়ে আমাদের অবগত করেছেন সংশ্লিষ্ট শিশু বিভাগের চিকিৎসক। আমরা জানিয়েছি, তাদের চিকিৎসা শেষ হলে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য। আমাদের কাছে আসলে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।