বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর খিলগাঁও ও আদাবর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুই মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২১ মে) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. লিটন আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার খুররম শাহ মুরাদ।
এর আগে ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট গার্মেন্টস কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার সুমন হচ্ছেন ২৯ নম্বর আসামি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আদাবর থানাধীন রিং রোডে এক প্রতিবাদী মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন গার্মেন্টসকর্মী মো. রুবেল। পরবর্তীকালে তাকে গ্রিন রোড সেন্ট্রাল হসপিটালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অপারেশন পরবর্তী আইসিইউ স্বল্পতায় সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট সকাল ১০টায় মারা যান রুবেল।
এছাড়াও খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই দিন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।