অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সমাজ কোনও একক বিষয়ের ওপর চলতে পারে না। শিক্ষার্থীদের একাধিক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে পড়াশোনা করতে হবে। এসময় ইকোনমিকস অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। জ্ঞানকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে তুলে ধরে তা সমাজের কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
“অর্থনীতির শিক্ষা, দেশ গড়ার দীক্ষা”— স্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড ২০২৫-এর ৭ম পর্ব। এই পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত আসরে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এর আগে প্রাথমিক বাছাই পর্বের পরীক্ষার ২০ হাজার প্রতিযোগী থেকে এই ৫০০ জনকে বাছাই করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে ৩ জন করে মোট ৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের শিক্ষার্থী আবিদ ইয়াসির সাদমান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল আকবর ও অনিশা রেজওয়ান। আর স্কুল ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী ফারাবিদ বিন ফয়সাল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে স্কলাসটিকার ফাইয়াদ সালেহিন আহমেদ আর তৃতীয় হয়েছে মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সেবা আল মেহরা।
আয়োজকরা জানান, জাতীয় পর্বে নির্বাচিত শীর্ষ ৫০ জনকে নিয়ে শুরু হবে ন্যাশনাল ক্যাম্প। যেখানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন ৫ জন, যারা আজারবাইজানের বাকুতে অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক ইকোনমিকস অলিম্পিয়াডে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আরও বলেন, আসলে লেখাপড়া শুরু হয় ডিগ্রির পর থেকে। ক্লাসে সব কিছু জানা সম্ভব হয় না। জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি। অন্যকে ল্যাঙ মেরে বেশি দূর যাওয়া যায় না।” সমাজ থেকে একে অপরের জন্য সহমর্মিতা উঠে গেছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ফাহমিদা খাতুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন।