ঈদের মূল আনুষ্ঠানিকতা দুই দিন আগে শেষ হলেও সরকারি দফতর খুলতে এখনও তিন দিন বাকি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজধানী ঢাকায় মানুষের কর্মব্যস্ততা অনেকটাই কম। আর সেই কারণে ঢাকায় ফেরার ক্ষেত্রে আগের মতো তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে না গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে যাওয়া মানুষের মধ্যে।
বুধবার (১১ জুন) ঈদের পঞ্চম দিন রাজধানীর রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকায় ফেরা মানুষের তেমন ভিড় নেই। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ট্রেন থেকে নামছেন এবং দ্রুত স্টেশন ত্যাগ করছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ১১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৫টি ট্রেন ঢাকায় এসেছে। ট্রেনগুলোতে বাড়তি যাত্রীর চাপ ছিল না। যাত্রীরা জানান, পথে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি এবং তাদের ঢাকায় ফেরা হয়েছে স্বাচ্ছন্দ্যে ও ভোগান্তিহীনভাবে।
উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেনে ঢাকায় ফেরা মতিঝিল এলাকার হকার মো. শরীফ বলেন, ‘এখনও অফিস-আদালত খোলেনি, তাই সময় নিয়ে এলাম। তা না হলে ঈদের পরপরই চলে আসি।’
একই ট্রেনে আসা এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ঈদের পরে লম্বা ছুটি থাকায় যাত্রীদের চাপ কম ছিল। তাই আসতে কোনও ঝামেলা হয়নি।’
রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। ধীরে-সুস্থে ফিরছেন যাত্রীরা। অনেকেই জানিয়েছেন, যাত্রাপথ ছিল আরামদায়ক ও নির্বিঘ্ন। যাত্রী কম থাকায় টার্মিনালের বাইরে থাকা সিএনজি চালকরাও দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালের সামনে থাকা সিএনজিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় পর পর একটা বাস আসছে। যাত্রীর সংখ্যাও কম। যারা আসছেন, তাদের অনেকেই লোকাল বাস বা রিকশা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। সরকারি চাকরিজীবীরা ফিরলেই সিএনজির চাহিদা বাড়বে।’
এদিকে সদরঘাটসহ লঞ্চ টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীচাপ তুলনামূলক কম দেখা গেছে। নির্ধারিত সংখ্যক যাত্রী নিয়েই ঘাটে ভিড়ছে নৌযানগুলো।