কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় করা মামলায় ওই ব্যাংকের নৈশপ্রহরীর দুই সহযোগী আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১৫ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমন মিয়া তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিন রিমান্ড শুনানির জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। আজ আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলার আসামিদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। চুরি হওয়া সব টাকা পাওয়া গেছে। রিমান্ডে নেওয়ার আর কোনও কারণ নেই। সেজন্য তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করছি৷ শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় ওই ব্যাংকের নাইটগার্ড মো. সিয়াম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকটির ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। চুরির ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। এসময় আসামি সিয়ামের ভাড়া বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাড়ি থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু ও হার্ডডিস্কসহ সিসিটিভির ডিভিআর ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু জানান, ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংকটি বন্ধ ছিল। এই সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালে থাকা ওয়াশরুমের অ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার তার কেটে সিস্টেম অকার্যকর করে ফেলে। পরে ভল্ট ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমেই নজরে আসেন নাইট গার্ড মো. সিয়াম। শুরুতে তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি ব্যাংকের বাইরে ছিলেন এবং অজ্ঞাত কেউ ভেতরে ঢুকে চুরি করেছে। তবে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।