বকেয়া বেতন পরিশোধে আগামী ২২ জুন ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আশ্বাসে শ্রম ভবনের সামনে থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারী দুই কারখানার শ্রমিকরা। সে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত থাকবে বলে জানান তারা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন হাওলাদার।
তিনি জানান, দুপুরে গাজীপুরের দুটি কারখানা সিজন্স ড্রেসেস ও তারাটেক্স ফ্যাশনের শ্রমিক প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি নিয়ে গেলে এ আশ্বাস দেন শ্রম কর্মকর্তারা। তারা জানান, এ বিষয়ে ২২ জুন সকাল ১০টায় শ্রম ভবনে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের দাবি পূরণ করা হবে। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে। তারা উপস্থিত না হলে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে। আর দাবি পূরণ না হলে আমরা সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।
এর আগে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের কর্মীরা। রাতেও ছিলেন অনেকে।
দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও সেখানে অবস্থান করেন তারা। এদিন সকাল ৯টা থেকে তাদের সাথে যুক্ত হন পাশাপাশি এলাকার আরেকটি কারখানা তারাটেক্স ফ্যাশনের কর্মীরা।
এ সময় তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সিজন্স ড্রেসের কর্মীরা জানান, তাদের ১২০০ জন দুই মাস বেতন পাননি। আরেক মাসও শেষ পর্যায়ে। গত দুটি ঈদের বোনাসও পাওনা রয়েছেন।
আরেক কারখানা তারাটেক্স ফ্যাশনের ১২০০ শ্রমিকও দুই মাসের বেতন ও একটি ঈদ বোনাসের টাকা পাওনা।
তারা জানান, ঈদের আগেও এখানে এসেছিলেন। তখন মালিক পক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে মালিকপক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি।
দুই প্রতিষ্ঠানেরই বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় তারা আন্দোলনে নামেন।