মানবপাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শওকত আলীকে (৫০) যশোর জেলার বাঘারপাড়ায় থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামি দেহব্যবসার মতো ভয়ংকর অপরাধে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ভিকটিম তরুণীকে (১৯) এক বছর আগে একটি জাল কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফাঁদে ফেলে শওকত আলী ও তার সহযোগীরা। পরে গত ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহীন হোসেন (২৬) নামে এক ব্যক্তি ভিকটিমকে ভারতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।ওই তরুণী প্রস্তাবে রাজি হলে তাকে পাচার করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতে গিয়ে ভিকটিম বুঝতে পারেন, চক্রটি নিয়মিত মেয়েদের বিদেশে পাচার করে দেহব্যবসায় জড়িত করে এবং অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দালালের মাধ্যমে দেশে পাঠায়। পরে কৌশলে ভিকটিম তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দেশে ফেরার জন্য চক্রটি তার মায়ের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। মা ২০ হাজার টাকা পাঠালে, গত ২৪ মে ভিকটিম বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে বিএসএফ-এর হাতে আটক হন এবং পরে দেশে ফেরত আসেন।
এই ঘটনায় ভিকটিম যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা রুজু হয়। পরবর্তীকালে র্যাব-১০ এর গোয়েন্দারা নজরদারি জোরদার করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-৬ এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর পৌনে ৬টার দিকে যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন পদ্মবিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি শওকত আলীকে (৫০) গ্রেফতার করে র্যাব-১০ এর একটি দল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১০। চক্রে জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার।