গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পরপরই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। তাদের মূল দাবি ছিল, সংস্থাটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তারা হলেন— সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, সদস্য (অর্থ) এসএম লাবলুর রহমান এবং পরিচালক (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গি।
এই তিন জনের মধ্যে অবশেষে আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গিকে বুধবার (৯ জুলাই) বেবিচক থেকে প্রত্যাহার করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উনি-২ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের কপি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে।
মুসা জঙ্গির বদলি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে বেবিচকে প্রভাব বিস্তারকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আলোচিত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর বেবিচকের কর্মচারীরা তিন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে বড় সমাবেশ করে এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। তখন বিভিন্ন ব্যানারে তাদের অপসারণের দাবি বেবিচকের নানা স্থানে টাঙানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেন, এই তিন কর্মকর্তা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন এবং কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। প্রতিবাদ করলে শাস্তি নিশ্চিত ছিল।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, একজন কর্মকর্তার অপসারণ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাকি দুজনকে দায়িত্বে রেখে বেবিচকে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব নয়। তাই তাদের দ্রুত অপসারণ চান তারা।
এ বিষয়ে বেবিচকের অভিযুক্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।