রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে ১৫০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং ঢাকার বিজয় সরণিতে কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে বারবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের পরিবার।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর ফ্রিডম ফাইটার্স ফ্যামিলি’ শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ও মুক্ত আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী এই অভিযোগ তোলেন।
মুক্ত আলোচনায় লিখিত বক্তব্যে নুরতাজ আরা ঐশী বলেন, ‘ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প একটি পাইলট পরীক্ষামূলক প্রকল্প। এই পুরো প্রকল্পটি আমার বাবা তার নিজের সম্পদ বিক্রি করে গড়ে তুলেছেন। ২০১০ সালে প্রকল্প থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী কায়দায় নর্থ-সাউথ প্রপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা আমার বাবা এবং তার কর্মচারীদের প্রকল্প থেকে অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে বের করে দেওয়া হয়।’ এর পেছনে ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পবিরোধী একটি চক্র রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের পরিবারকে ২০১০ সালে দেশছাড়া করা হয়। এমনকি ২০১২ সালে আমার বাবা আব্দুর রহিম দেশে এলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে র্যাব দিয়ে গুম করা হয়। পাশাপাশি ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের পাবলিক রিলেশন অফিসার ইসমাইল হোসেন বাতেনকে ২০১৭ সালে গুম করা হয়। এরপর থেকে এখনও তাকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি।’
এই গুমের পেছনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুক ও প্রকল্পবিরোধী একটি চক্র জড়িত বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন ঐশী।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার বিজয় সরণির কলমিলতা বাজারটির প্রকৃত মালিক আমার বাবা। আজ অবধি ডিএনসিসি ও তার পূর্বসূরিরা পরস্পর যোগসাজশে আইনের অপপ্রয়োগ করে জবরদখল করে রেখেছে। যদিও হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকার জেলা প্রশাসককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের চাহিদাপত্র না দিয়ে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করছেন।’
এ সময় মুক্ত আলোচনা সভা থেকে নুরতাজ আরা ঐশী সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
মুক্ত আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।