চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ সভা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ডের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাউন্সিলররা মাঠে থাকলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।’
রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে গুলশান-২ নগর ভবনের ষষ্ঠতলায় অডিটোরিয়ামে এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র আতিক বলেন, ‘কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে যে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি নিজ নিজ এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রচারণা চালাবে। সিটি করপোরেশন থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আর্ট বুক ছাপানো হয়েছে প্রতিটি ওয়ার্ডের সব কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেটি বিতরণ করবে কাউন্সিলররা।’
মেয়র বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ডের নির্মাণাধীন ভবন মালিককে চিঠি দেবে, যেন পানি জমে না থাকে। সেই সঙ্গে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা প্রনয়ণ করবে। এই তালিকা অনুযায়ী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত র্যাপিড একশন টিম পরিদর্শন করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘কাউন্সিলররা প্রতিটি এলাকার মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে মশক নিধনে করণীয় সম্পর্কে জানাবে। বিভিন্ন সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সভা করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করবে। কোন কোন বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে সেটির তালিকা প্রনয়ণ এবং আশেপাশে লার্ভিসাইডিং বাড়াতে হবে।’
সভায় ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।