X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

খাঁচায় থাকবে না চিড়িয়াখানার প্রাণী

চৌধুরী আকবর হোসেন
২৮ আগস্ট ২০২১, ২৩:৫২আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২১, ২৩:৫২

খাঁচাবন্দি থাকবে না জাতীয় চিড়িয়াখানার কোনও প্রাণী। প্রকৃতির আবহে বিশেষ বেষ্টনির মধ্যে ‘খোলা’ পরিবেশেই বিচরণ করবে ওরা। দর্শনার্থীদের আধুনিক ও বিশ্বমানের চিড়িয়াখানা উপহার দিতে মাস্টারপ্ল্যান করে সেটা বাস্তবায়ন করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা প্রণয়ন শেষে প্রাণীদের ধরনের ভিত্তিতে আলাদা জোন করে তা বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে ১০-১৫ বছর।

জানা গেছে, চিড়িয়াখানাকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করতে সিঙ্গাপুরের একটি কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই মাস্টারপ্ল্যান করছে। এরপর ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। অবশ্য করোনা মহামারির কারণে গতি কমেছে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন দেশে চিড়িয়াখানা দেখতে যান। আমরা চাচ্ছি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো করে আমাদের জাতীয় চিড়িয়াখানাকে বিশ্বমানের করে তুলতে। তখন অন্যদেশ থেকেও মানুষ আমাদের চিড়িয়াখানা দেখতে আসবে। এজন্য মাস্টারপ্ল্যান দরকার। পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে, তারা কাজ করছেন।

খাঁচায় থাকবে না চিড়িয়াখানার প্রাণী জানা গেছে, পশু-পাখিদের ধরনের ভিত্তিতে চিড়িয়াখানাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হবে। একই জাতীয় প্রাণীগুলো এক জোনে রাখা হবে। মাছের জন্য একটি অ্যাকুরিয়াম করা হবে, দেশ-বিদেশের মাছের প্রর্দশনী হবে। চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের জন্য হাসপাতালের আকার বাড়ানোসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া, প্রাণীদের বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া, পানি শোধন করতে ব্যবহার করা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি।

মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, প্রথমে দরকার পরিকল্পনা। আমরা কীভাবে, কী করবো। মাস্টারপ্ল্যানে সব উঠে আসবে। চিড়িয়াখানা আধুনিক হবে কীভাবে সেটাও থাকবে।

দেশে ১৯৬৪ সালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে প্রথম চিড়িয়াখানা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে মিরপুরে ২১৩ দশমিক ৪১ একর জায়গায় চিড়িয়াখানা স্থানান্তর হয়। যদিও পরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধের জন্য ৬ দশমিক ৬৫ একর, কেন্দ্রীয় মুরগির খামারের জন্য ২০ দশমিক ১৩ একর জায়গা ছেড়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এখন ১৮৬ দশমিক ৬৩ একর জায়গায় রয়েছে চিড়িয়াখানাটি।

সাফারি পার্কের আদলে চিড়িয়াখানা রূপান্তরের পরিকল্পনা উল্লেখ করে ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা আর পশু-পাখিদের খাঁচার ছোট জায়গায় আটকে রাখবো না। সাফারি পার্কের আদলে খোলা জায়গায় রাখা হবে। এমনভাবে বেষ্টনি দেওয়া হবে যাতে পশুপাখিরা মনে না করে তারা বন্দি আছে। কোথাও প্রয়োজনে বিদ্যুতায়িত নেট থাকবে। তবে এসব কোনও কিছুই দৃশ্যমান থাকবে না।

খাঁচায় থাকবে না চিড়িয়াখানার প্রাণী নিশাচর প্রাণিদের দেখার জন্য রাতেও খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ট্রাভেল কার্ট থাকবে। বিভিন্ন জোনে থাকবে রেস্তোরাঁ।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন বলে জানালেন চিড়িয়াখানার পরিচালক। তিনি বলেন, প্রাণীগুলোকে অন্য কোথাও স্থানান্তর সম্ভব নয়। একটা জোন প্রস্তুত হলে প্রাণীদের সেখানে সরিয়ে নিয়ে আরেক জোনের কাজ করতে হবে। সার্বিক কাজ শেষ করতে ১৫ বছরও লেগে যেতে পারে।

/এফএ/
সম্পর্কিত
কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির, ঢামেকে মৃত্যু
দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর চিড়িয়াখানা
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নানা আয়োজন
সর্বশেষ খবর
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!