কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নোয়াখালীপাড়া এলাকায় র্যাব ৭-এর একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ ও টেকনাফ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হয়েছে।
শনিবার (২৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৭ কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাবের গুলিবিনিময় হয়। পরে সেখান থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল একরামুল হকের অবস্থান জানতে পারে। অভিযান শুরু করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল মাদক ব্যবসায়ী র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরাপিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা মৃতদেহটি টেকনাফ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. একরামুল হকের বলে শনাক্ত করেন। মৃতদেহটি টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খানও বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. একরামুল হকের (৪৬) গুলিবিদ্ধ মরদেহ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও গুলির পাঁচটি খালি খোসা উদ্ধার করেছে র্যাব।
জানা গেছে, নিহত একরামুল হকের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুল হকের মৃতদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। সকালে (রবিবার) ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো প্রস্তুতি চলছে। সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিল।’
আরও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
শৈলকুপায় গোলাগুলিতে অজ্ঞাত ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
মাদকের গডফাদাররা স্পটে থাকে না: মনিরুল
ওসির বিরুদ্ধেই যখন মাদক ব্যবসার অভিযোগ