গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অভিবাসী বাংলাদেশিদের দু গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ ও দুজন ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও কেউ নিহত হয়নি। এমনকি এই ঘটনা কোনও রাজনৈতিক বিরোধও নয়।
জানা গেছে, পর্তুগাল বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী ও পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহাদ মিয়ার মধ্যকার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই এই সংঘর্ষ। এই দুজন দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা হলেও এই ঘটনা রাজনৈতিক নয়। বরং উভয় দলের অন্যান্য নেতারা বিষয়টি মীমাংসায় দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মহল ও কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন মাধ্যম ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যকার সংঘর্ষ ও একজন নিহত’ হওয়ার খবর প্রচার করে।
লিসবন সিটি সেন্টারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের চেয়ারম্যান রানা তাসলিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কিছুক্ষণ আগেও আমি লিসবনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে দুজন গুলিবিদ্ধ ও দুজন ছুরিকাহত হলেও কেউ মারা যায়নি। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় প্রবাসী আজাদ আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমন ঘটনা বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। এতে লাদেশি অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ কঠিন হয়ে যেতে পারে।