আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছিল নানান আয়োজন। মাতৃভাষার জন্য যারা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন, সেইসব ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কুয়েত ও বেলজিয়ামে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে কুয়েত দূতাবাস প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ আয়োজনে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মো. জহিরুল ইসলাম খান। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান দ্বিতীয় সচিব নিয়াজ মোর্শেদ। এছাড়া সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন মজুমদার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী ও রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. জিহোন ইসলাম পাঠ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী।
দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে।’
এদিকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদুত শাহাদাত হোসেন। এ সময় উপস্থিত রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রবাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করেন। এরপর ছিল দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠের পর ভাষা শহীদদের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
বক্তারা বলেন, ‘মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙালি জাতির আছে। ভাষাসংগ্রামের অর্জনেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজবপন হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেই গৌরব এসেছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. ফারুক মির্জা, সভাপতি শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, বেলজিয়াম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দীন, কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন চৌধুরী, শায়লা শারমীনসহ অনেকে।