অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ নির্দেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে দুদক দুটি মামলা দায়ের করে। তার মধ্যে গত ১০ আগস্ট অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ বুধবার ( ১২ আগস্ট) অবৈধ সম্পদের মামলায় দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এ সম্পর্কে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত সম্পদ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া পরিচয়ে ঋণ নেওয়া ও করোনার পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহসহ যেসব বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে দুদকে একটি অনুসন্ধানী টিম পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে কাজ করছে। সাহেদ এখন যেহেতু অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন, তাই তারা সেসব বিষয়ে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন প্রতারণার মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৬ জুলাই পৃথক চার মামলায় তার আরও ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। গত ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন—মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
আরও পড়ুন-
আদালতে রিমান্ড কনসিডারের অনুরোধ জানান সাহেদ
‘সাহেদ চতুর, ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু’
ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছিলেন সাহেদ
বোরকা পরে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাহেদ: র্যাব
সাহেদের খোঁজে সাতক্ষীরাজুড়ে দিনরাত চলে চিরুনি অভিযান
প্রতারণার জগতে সাহেদ আইডল: র্যাব
সাহেদ ও সাবরিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
মৌলভীবাজারে খোঁজ মেলেনি সাহেদের
রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা মামলা ডিবিতে
রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গ্রেফতার
রিজেন্টের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর চুক্তি করে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে
সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সাহেদের অপরাধের বিচার চান স্ত্রীও
রিজেন্ট হাসপাতালের ভবনগুলো দখল করেছিলেন সাহেদ