শিশুপাচার প্রতিরোধ ও সুরক্ষা এবং মানবপাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিরোধ তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি)। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে শিশুপাচার বিরোধী চারটি জাতীয় বেসরকারি সংগঠন অ্যাটসেক, ইনসিডিন বাংলাদেশ, সিপিডি ও নারী মৈত্রী সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সমন্বয়ক শরিফুল্লাহ রিয়াজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, সারা পৃথিবীতে মানবপাচার একটি বড় সমস্যা। এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানব ও শিশু পাচার নিয়ে বাণিজ্য চলছে। পাচারের মাধ্যমে মূলত ব্যক্তি অধিকার হরণ করে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাধীনতা হরণ করে যৌনদাসত্ব জোরপূর্বক শ্রম, বাধ্যতামূলক ও শোষণমূলক শ্রম এবং অঙ্গ পাচারের মতো কার্যকলাপ সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে প্রধানত মানবপাচারের উৎস দেশ হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিরোধে ও প্রতিকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২’ এবং ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন বিধিমালা ২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি সরকার নিয়মিতভাবে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছে।
তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ তে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি পাশাপাশি পাচারের শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন, পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণ ইত্যাদি সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাই আমরা মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন বিধিমালা ২০১৭ এর নির্দেশনা মোতাবেক ‘মানবপাচার প্রতিরোধ তহবিল গঠনে’র আহ্বান জানাচ্ছি।