X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ভুয়া মামলায় আইনজীবীর সাজা ও পরোয়ানা জারির অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০২০, ২০:১২আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২০, ২২:২৯

 

ভুয়া মামলায় আইনজীবীর সাজা ও পরোয়ানা জারির অভিযোগ আদালতের নথি জালিয়াতি করে ভুয়া মামলায় সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী মফিজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট ল রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আইনজীবী মফিজুল ইসলামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি অসাধু চক্র নিরীহ মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। খুলনা নারী ও শিশু আদালতের পেশকার দাউদ এরকম জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা দিয়ে খুলনা শহরে তিনটি বাড়ি, নামে-বেনামে সম্পত্তি এবং অবৈধ টাকার মালিক বনে গেছে।’

‘এছাড়া আরেক অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনু কোনও ব্যবসা বা চাকরি না করলেও খুলনায় আলিশান ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। অথচ মফিজুল ইসলাম আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও এই জালিয়াত চক্রের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাই আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি প্রতিকার চাই। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে আইন ও বিচার বিভাগে এবং প্রশাসনের কাছে এটাই প্রত্যাশা করি।’

নিজ মক্কেল সম্পর্কে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের  বাসিন্দা। ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি বিয়ে করেন। এরপর একই বছরের ১২ ডিসেম্বর নববধূসহ বাড়িতে আসার পর একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনু এবং বাবুরাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর কন্যা রাবেয়া পারভীন তার বাড়িতে আসেন। রাবেয়া পারভীন মফিজুলের বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেন।

পরে ওই ঘটনায় একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর কয়রা আদালতে চক্রান্তকারী মনুসহ অন্যদের আসামি করে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আসামিপক্ষ জাল কাবিননামা তৈরি করে খুলনার সিএমএম আদালতে যৌতুকের অভিযোগে মামলা করে।

মফিজুলের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘যৌতুকের মামলায় ভুক্তভোগী মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি ভুয়া ওয়ারেন্ট ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে মামলা করলে আসামিপক্ষও হাজতবাস করে। পরে মামলায় ব্যবহৃত কাবিননামায় উল্লিখিত কাজির ঠিকানায় গিয়ে জানা যায়, নিকাহনামা সম্পাদনকারী কাজি ভুয়া।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার ও জালিয়াত চক্র যোগসাজশে এসব করেছে। তাই চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভু্ক্তভোগী মফিজুল ইসলামের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন।

 

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ থেকে শুরু
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ থেকে শুরু
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের