X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ওমরায় একা দুজনে (শেষ পর্ব)

মক্কা ট্রেন স্টেশনের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:০০আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:০০

দুই-তিন দিন পর মদিনা যাবো। কীভাবে যাবো, সেটা নিয়ে নানা ফিকির করছি। ট্রেন আছে, বাস আছে, ট্যাক্সিতেও যাওয়া যায়। ভাবলাম, ট্রেনে যাই। ফয়জুল্লাহ ভাইও ট্রেনে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। মক্কা থেকে মদিনা নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। তিনি এখনও কীভাবে কোথা থেকে টিকেট কাটতে হয় বিস্তারিত জানেন না। একটা অ্যাপ আছে ট্রেন সার্ভিসের HHR Train নামে। সেটা ডাউনলোড করে দেখে নিতে বললেন। সেটা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।

আমি অ্যাপ ডাউনলোড করে দেখলাম, জনপ্রতি ভাড়া ১৭২ রিয়াল। সে তো বেশ খরুচে। দুজনের দশ হাজার টাকার ওপরে লেগে যাবে। অবশ্য দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, ট্রেনের সার্ভিস বেশ বিলাসবহুল। বিমানের বিজনেস ক্লাসের মতো গদিমোড়া সিট। অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে বটে, তবে তার জন্য সৌদি আরবের কোনও পেমেন্ট অপশন লাগবে অথবা ইন্টারন্যাশনাল ডুয়াল কারেন্সির ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড লাগবে। আমার কাছে দুটোর কোনোটিই নেই। মক্কা ট্রেন স্টেশনের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

ফোনে জানতে চাইলাম ফয়জুল্লাহ ভাইয়ের কাছে। ফয়জুল্লাহ ভাই এখনও মদিনায়। তিনি বললেন, সবচে ভালো হয় আপনি নিজে একবার ট্রেন স্টেশনে চলে যান। সেখানে গেলে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং কোনও ডিসকাউন্ট থাকলে সেটাও জানতে পারবেন।

দুপুরের পর রাবেয়াকে নিয়ে ট্রেন স্টেশনে যাওয়ার জন্য বের হলাম। এক পাকিস্তানি ড্রাইভার পেলাম, ১০ রিয়ালে আমাদের ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাবে। তিন-চার কিলোমিটার দূরত্ব। মক্কার বাইরে রুসাইফাতে স্টেশন। আমাদের ড্রাইভারও নতুন এ স্টেশনে আগে আসেননি। স্টেশন দেখে বললেন, ‘এ এলাকা একদম বিরান ছিল। মানুষ ভুলেও এদিকে আসতো না। এখন তো একদম সিঙ্গাপুর বানিয়ে ফেলেছে।’ মক্কা ট্রেন স্টেশনের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

সত্যি বাইরে থেকে দেখেই বুঝা যায়, বেশ আধুনিক আর অভিনব নির্মাণশৈলী ট্রেন স্টেশনের। ড্রাইভার আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্কিংয়ে আমাদের নামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘আপনারা বললে আমি এখানে অপেক্ষা করি। আপনাদের কাজ হয়ে গেলে আবার নিয়ে যাবো।’

আমি ভাবলাম, শুধু শুধু তাকে এখানে বসিয়ে রাখবো কেন? এ জন্য তাকে আবার এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের কতক্ষণ লাগবে তার তো কোনও ঠিক নেই। জাবালে রহমতের মতো আবার কোনও অঘটন ঘটে কিনা কে জানে। তাই তাকে ১০ রিয়াল ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে বললাম, ‘আপনার থাকার দরকার নেই, চলে যেতে পারেন।’

স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরটা একেবারে ঝা চকচকে। কিন্তু লোকজন একেবারে অপ্রতুল। অল্প যাত্রীর আনাগোনা। আরবরা এখনও সম্ভবত রেলযাত্রার সঙ্গে অতটা পরিচিত হতে পারেনি। অথচ ট্রেনে মক্কা থেকে মদিনা যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। যেখানে বাস বা ট্যাক্সিতে যেতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।

আন্ডারগ্রাউন্ড নিচতলা কেবল যাত্রীদের আগমন ও বহির্গমনের (Enter-Exit)  লাউঞ্জ। লাউঞ্জের দুই পাশে বেশকিছু নামি-দামি ব্র্যান্ডের কফি ও স্ন্যাকার্স শপ। সেগুলোতেও লোকজন নেই বললেই চলে। তবু তারা বিরাট স্পেস নিয়ে দোকান খুলে বসে আছে। ভবিষ্যতে নিশ্চয় রমরমা হবে এ স্টেশন, হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। আমাদের পাকিস্তানি ড্রাইভারও বলেছেন, একদম মসজিদে হারাম পর্যন্ত রেললাইনের কাজ চলমান। কিছুদিনের মধ্যে হারামের পাশ থেকেই ট্রেনে চড়ে মদিনা যাওয়া যাবে।

ট্রেন স্টেশনের মূল কার্যক্রম প্রথম তলায়। আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে প্রথম তলায় যাওয়ার এস্কেলেটরের সামনে এক নারী অভ্যর্থনাকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন বোরকা পরে। টিকিট কোথায় কাটতে হবে, তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাদের নির্দিষ্ট এস্কেলেটর দেখিয়ে দিলেন। মক্কা ট্রেন স্টেশনের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

এস্কেলেটর দিয়ে ওপরে ওঠলেই টিকিট কাউন্টার। দু-তিনজন নারী কর্মী নিয়োজিত আছেন রিসিপশনে। আমি ইংরেজিতে তাদের একজনকে বললাম, ‘আগামী ১৮ তারিখের টিকিট কাটতে চাই, মক্কা থেকে মদিনা।’

তিনি ইংরেজিতে জানালেন, ‘অগ্রিম টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হয় না। অগ্রিম টিকিট নিতে হলে আপনাকে অ্যাপের মাধ্যমে নিতে হবে।’

আমি বললাম, ‘কিন্তু আমার তো কোনও পেমেন্ট সিস্টেম নেই।’

তিনি জানালেন, ‘তাহলে আপনি যেদিন যেতে চান সেদিন স্টেশনে এলে এখান থেকেই টিকিট কাটতে পারবেন।’

হতাশ হলাম। টিকেটের দাম জানতে চাইলাম। জানালেন, জনপ্রতি ১৭২ রিয়াল। কোনও ডিসকাউন্ট নেই।

তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিচে নেমে এলাম। ট্রেনে তাহলে আর যাওয়া হচ্ছে না, আমি আর রাবু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। অত টাকা ভাড়া দিয়ে মদিনায় যাওয়া আমাদের পোষাবে না। এর চেয়ে বাসে বা গাড়িতে করে যাওয়া ভালো। কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানি ড্রাইভার সেটাই বলছিলেন।

স্টেশন থেকে বের হয়ে এলাম। লাউঞ্জে কয়েকটি স্ট্যান্ড ব্যানারে তির চিহ্ন এঁকে লেখা হয়েছে—মসজিদে হারামের বাস এখান থেকে যায়। আমরা আনন্দিত হলাম, হারামের ফ্রি বাসে ফেরা যাবে। কিন্তু স্টেশনের গেট দিয়ে বাইরে এসে বুঝলাম না কোথা থেকে বাস যায়। এখানে কার পার্কিং, যাত্রীরা যার যার গাড়ি বা ট্যাক্সি নিয়ে আসছে। এটা আন্ডারগ্রাউন্ড, এখানে বাস আসা সম্ভব না। তাহলে ভেতরের তির চিহ্নগুলো এদিকে দেখাচ্ছে কেন? বাইরেও একটা তির চিহ্ন দেওয়া ব্যানার লাগানো আছে অবশ্য, কিন্তু বাস কোথায় থামবে সেটা সাইনে লেখা নেই।

ভাবলাম, পার্কিং থেকে বের হওয়ার কোনও গেট আছে হয়তোবা ধারে কাছে। কিন্তু খোঁজাখুঁজি করে তেমন কোনও গেট পেলাম না। পার্কিং গ্রাউন্ড থেকে হেঁটে এদিক ওদিক খুঁজলাম, নাহ, বাস এসে থামতে পারে এমন কোনও স্টপেজ দেখলাম না।

অগত্যা কী আর করা, কোনও ট্যাক্সি নিয়েই চলে যেতে হবে। ফিরে আবার স্টেশনের গেটের সামনে চলে এলাম। এক সুদানি ড্রাইভার ট্যাক্সি নিয়ে এগিয়ে এলো। তাকে বললাম, মসজিদে হারাম, কত?

তিনি বললেন, খমসুনা।

আমি ভাবলাম, খমসুন, মানে পাঁচ রিয়াল বলছে হয়তো। তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম, খমসুন?

এবার তিনি হাত দিয়ে একটা শূন্য এঁকে বললেন, খমসুন ওয়া জিরো রিয়াল।

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ফিফটি রিয়াল?

সুদানি বললেন, নাআম নাআম। হ্যাঁ হ্যাঁ!

বেটা বেত্তমিজ! এলাম ১০ রিয়ালে আর এখন যেতে হবে ৫০ রিয়ালে। বোকা পেয়েছো নাকি আমাদের মশাই! মক্কা ট্রেন স্টেশনের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

তাকে হাতের ইশারা দিয়ে বললাম, যাও ভাই, লাগবে না আমাদের ট্যাক্সি। আরও দু-একটা ট্যাক্সি ধরলাম। ৩০-৪০ রিয়ালের নিচে কেউ যাবে না। আমিও পণ করেছি, ১০ রিয়াল দিয়ে যেহেতু এসেছি ১০ রিয়ালেই যাবো।

এই ভেবে পার্কিং থেকে বের হওয়ার পথের দিকে হাঁটা ধরলাম। চিন্তা করছি, বাইরে থেকে কোনও ট্যাক্সি নিলে হয়তো কম টাকায় যাওয়া যাবে। হারামের ফ্রি বাসও আশপাশের রাস্তায় পাওয়া যেতে পারে। বাইরে বেরোলে একটা না একটা বিহিত হয়েই যাবে।

কিন্তু বাইরে তখন প্রখর রোদ। তাছাড়া কতখানি হাঁটতে হবে তার কোনও ধারণা নেই। তবু হাঁটতে লাগলাম। গরমে ঘেমে নেয়ে যাচ্ছি। আবার দুশ্চিন্তাও হচ্ছে, বাইরে কোনও যানবাহন পাব কি?

হাঁটতে হাঁটতে পার্কিং পেরিয়ে প্রায় তিন-চার শ গজ সামনে চলে এসেছি। সামনেই আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বেরোনোর পথ। এমন সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার আমাদের পাশে এসে ধাম করে থামলো। গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং সিট থেকে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক বেরিয়ে এসে দাঁড়াল আমাদের সামনে।

কী হলো? কিছু ভুল হলো নাকি? কোনও আইন-টাইন ভঙ্গ হয়েছে? আল্লাহ মালুম!

যুবক আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে চলতি আরবিতে বললেন, এখান থেকে হারামে যাওয়ার বাস আছে। আমার সঙ্গে গাড়িতে আসুন, আমি আপনাদের বাসে উঠিয়ে দিচ্ছি।

একজন বাঙালি হিসেবে আমার উচিত ছিল প্রথমেই এই যুবককে সন্দেহ করা। কে হে তুমি, বাপু? আমরা হেঁটে যাচ্ছি, যাবো। তুমি এমন কে যে আমাদের জন্য বাসের এন্তেজাম করে দেবে? তার ওপর আবার বলছো তোমার গাড়িতে চড়ে যেতে! বোকা পেয়েছো নাকি আমাদের? গাড়িতে উঠিয়ে আমাদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ধান্ধায় আছো, না? বুঝি বুঝি, তোমাদের চেনা আছে আমার! লাগবে না তোমার পরোপকার। আসছে এখানে ইনসানিয়াত দেখাতে!

কিন্তু সত্যি বলছি, এই যুবককে দেখে একবারের জন্যও তার কথা অবিশ্বাস করতে মন সায় দিল না। যুবকের মুখভঙ্গি এবং চোখের চাহনি এমন ছিল, তার হৃদয়ের সততা প্রস্ফুটিত হচ্ছিল সেখানে। সন্দেহপ্রবণ টিপিক্যাল বাঙালি মানসিকতার এই এক বিপদ, তার সন্দেহ কখনও ফুরায় না।

তবু আমার ভেতরের ভালোমানুষিরই জয় হলো। এই যুবক কে, কোথা থেকে এসেছে, কেনই বা আমাদের এমন উপকার করছে—এসব দুশ্চিন্তা বিদায় দিয়ে আমি আর রাবু গাড়ির ব্যাকসিটে উঠে বসলাম আল্লাহর নাম নিয়ে। আল্লাহর ঘরের জিয়ারতে এসেছি, তিনিই আমাদের হেফাজতকারী।

কৃষ্ণাঙ্গ যুবক গাড়ি ঘুরিয়ে আমাদের ফেলে আসা পথে চলতে লাগলেন। এক মিনিটের মধ্যে আমরা আবার ট্রেন স্টেশনের লাউঞ্জে ঢোকার প্রবেশপথের সামনে চলে এলাম। যুবক গাড়ি থেকে নেমে আমাদের নামতে ইশারা করলেন। আমরা নামলে তিনি প্রবেশপথের ঠিক সামনে স্থাপন করা এলিভেটরের বোতামে চাপ দিলেন। আমাদের আশ্বস্ত করে বললেন, বাস উপরের তলায়।

আমার বোকা হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় রইলো না। স্টেশনের লাউঞ্জে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় এ এলিভেটরকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে গিয়েছি এবং বের হয়েছি। অথচ বুঝতেই পারিনি যে এটা দিয়ে ওপরে গিয়ে বাসে উঠতে হবে। আমারই ভুল হয়তো বা। আমি ভেবেছিলাম, এটি সার্ভিস এলিভেটর বা স্টেশনের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ। অবশ্য এ ভুল বোঝাবুঝির দায় কর্তৃপক্ষও এড়াতে পারে না। তাদের উচিত ছিল, বাসের স্টপেজ যে উপরে, এ ব্যাপারে আরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা লাগানো। তাহলে হয়তো আমাদের এমন হয়রানি হতে হতো না।

যা হোক, যুবক আমাদের এলিভেটরে করে ওপরতলায় নিয়ে এলেন। এলিভেটরের দরজা খুলতেই দেখতে পেলাম, সামনে হারামে যাওয়ার দুটো বাস দাঁড়িয়ে আছে। যুবকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় হৃদয়টা ভরে উঠলো।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি এখানে কাজ করেন?’

যুবক হাসিমুখে বলল, ‘হ্যাঁ।’

আমি তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম, ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।’

যুবককে বিদায় দিয়ে আমি আর রাবু হারামের ফ্রি বাসে গিয়ে উঠলাম। গাড়িতে বসে এখন আমার মনে যে প্রশ্ন উদয় হলো, এই পরোপকারী যুবককে কে পাঠিয়েছিল? সে নিজের গরজে এসেছিল নাকি তার ঊর্ধ্বতন কোনও কর্মকর্তা সিসিটিভিতে আমাদের উদ্ভ্রান্ত হাঁটাহাঁটি করতে দেখে তাকে পাঠিয়েছিলেন সাহায্য করতে? নাকি কোনও আরবি প্যাসেঞ্জার আমাদের হেঁটে যেতে দেখে স্টেশনে গিয়ে বলেছিলেন দুরবস্থার কথা? জানি না। তবে এটা জানতে পারলাম, আরবদের নিয়ে আমাদের মাঝে নানা রকম ভুল ধারণা তৈরি হয়ে আছে।

বাসে বসে আমি রাবুকে বললাম, ‘বাংলাদেশে এটা ‍তুমি কল্পনা করতে পারবে?’

রাবু বোরকার আড়ালে হাসি লুকিয়ে বললো, ‘মাথা খারাপ হইছে আপনার?’

আমাদের মাথা আসলেই কিঞ্চিৎ পরিমাণ খারাপ। বিশেষত আরবদের নিয়ে আমাদের বদগুমানি যেন জন্মসূত্রে পাওয়া। অথচ তাদের হুসনে আখলাকের ব্যাপারে আমরা কখনও আলাপ করি না। আরবদের সৌজন্যবোধ এবং পরোপকারের কথা আগেও বলেছি। এবার আরেকবার তার চাক্ষুষ প্রমাণ পেলাম। আরবদের বিলাসিতা নিয়ে আমাদের উন্নাসিকতার শেষ নেই। কিন্তু আরবদের বদান্যতা আমাদের চোখে পড়ে না। কারণ আমাদের চোখের দৃষ্টিই এমন হয়ে গেছে, কেবল অন্যের মন্দ স্বভাবগুলোই আমাদের চোখে পড়ে। মানুষের মানবিকতা, সুকুমারবৃত্তি, নৈতিকতা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।

আমরা প্রথমে যে হোটেলটিতে উঠেছিলাম, মিলেনিয়াম হোটেল, এটি একটি চেইন হোটেল কনসোর্টিয়াম। এই মিলেনিয়াম গ্রুপের শত শত হোটেল রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আমাদের হোটেলের পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে গ্রুপটির আরও প্রায় ২০টি হোটেল অবস্থিত। আমাদের সফরসঙ্গী ফয়জুল্লাহ ভাই আমাদের জানিয়েছিলেন, এসব আরব মালিকানাধীন হোটেল এবং হোটেলের লভ্যাংশের বড় একটা অংশ চ্যারিটি হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশে দান করা হয়।

/এসটিএস/এমএস/
সম্পর্কিত
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
নয় বছরে প্রথম ওমরাহ, ইরানি দলের সৌদি আরব যাত্রা
সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করলেন জামালরা
সর্বশেষ খবর
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!