দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে পর্যবেক্ষণ দেবে বিএনপি। এ পর্যবেক্ষণে দেশের আর্থিক খাতের দুরবস্থা, রিজার্ভের ক্রমাবনতি, ঋণ পরিশোধ, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ের চিত্র ও উত্তরণের প্রস্তাব নিয়ে দলীয় অবস্থান থাকবে। সম্ভাব্য এই পর্যবেক্ষণটিকে ‘আগামী দিনের আন্দোলনের যৌক্তিকতা’ তৈরির আভাস হিসেবে দেখছেন বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলেরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, করোনার সময়, এর আগে ও পরে, নানা সময়ে সরকারের উদ্দেশ্যে; কখনও দেশবাসীর সামনে দলের অবস্থান ও বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেছে বিএনপি। এসব পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে না নিলেও বরাবরই বিএনপি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে তৈরি বক্তব্য সবিস্তারে উল্লেখ করেছে।
সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে একজন আমলার নেতৃত্বে কার্যক্রম চলছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের পর তা জনগণের সামনে আনা হবে।
শনিবার (২৫ মে) বিকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাকে এ ধরনের কোনও অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সংবাদ সম্মেলন বা সেমিনারের কোনও সিদ্ধান্ত পাইনি।’
তবে বিএনপির একাধিক নেতা জানান, সম্ভাব্য পর্যবেক্ষণে নতুন করারোপ, এর প্রভাব, আর্থিক খাতের দুর্নীতিসহ এর থেকে উত্তরণে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বা এই ক্ষেত্রে ‘সরকারের ব্যর্থতায়’ আগামী দিনের আন্দোলনের বার্তা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ অক্টোবর ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত ও ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে সেমিনার করে বিএনপি।