X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত: হানিফ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ আগস্ট ২০২২, ২১:১১আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ২১:১১

বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে। জিয়াউর রহমান তাদের বলেছিল, তোমরা এগিয়ে যাও। আমি তোমাদের পেছনে থাকবো। এটাই তো বড় প্রমাণ যে, জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

রবিবার (১৪ আগস্ট)  বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের’ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। খুনিরা যাতে জিয়ার নাম না বলে এজন্যই তাদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়া। জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে, তাহলে তিনি খুনিদের বিচার কেন করেননি। তাদের বিচার করতে তার কী সমস্যা ছিল। সে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন তার জীবনীতে জন্ম তারিখ ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। এই খালেদা জিয়া ১৯৯৩ সালে হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট কেক কাটা শুরু করলো। এর কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী। গোটা জাতির শোকের ও বেদনার দিন এরা আনন্দ করে। কারণ, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর খালেদা জিয়া পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি। সে স্বাধীনতা চায়নি। এর জন্য সে ১৫ আগস্ট কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করে। অথচ ১৯৮৪ সালে যখন খালেদা জিয়া বিএনপির নেত্রী হন, তখন তার পিতা তৎকালীন পত্রিকা ‘নিপুণ’ এ সাক্ষাৎকারে বলেছেন— ১৯৪৫ সালে যখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হলো ৫ সেপ্টেম্বর, সে দিন খালেদা জিয়া জন্ম গ্রহণ করেছিল। তখন হসপিটালের ডাক্তার বলেছিল— আজ বিশ্বে একটা শান্তি আসবে। তাই আপনার মেয়ের নাম শান্তি রাখেন। কিন্তু তার পিতা ইস্কান্দার সাহেব ভাবলেন, শান্তি নামটা হিন্দুয়ালি। তাই তিনি খালেদা খানম রেখেছেন। এতেই বুঝা যায়, তার জন্ম ৫ সেপ্টেম্বর। আর এই খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে উল্লাস করে কেক কাটে।’’

হানিফ আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। সে যুদ্ধ করেছে কিনা আমরা জানি না। খালেদা জিয়া তখন ছিল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। জিয়াউর রহমান অনেকবার লোক পাঠানোর পরও সে জিয়ার কাছে যায়নি। স্বাধীনতার পর যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়াকে নেবে না। কারণ, খালেদার প্রতি জিয়ার অবিশ্বাস, সন্দেহ ও ঘৃণা চলে এসেছিল। তখন খালেদা জিয়ে বঙ্গমাতার কাছে কান্নাকাটি করেছিল। বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমানকে ডেকে বলেছিলেন— খালেদা আমার মেয়ের মতো। আমি বলছি, তুমি তাকে ঘরে নিয়ে যাও। তখন বঙ্গবন্ধুর চাপে বাধ্য হয়ে জিয়াউর রহমান খালেদাকে ঘরে তোলে। বঙ্গবন্ধু কারণে খালেদা জিয়ার সংসার টিকে যায়। আর সেই খালেদা জিয়া তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীতে জন্মদিন পালন করে।’

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
‘ভবিষ্যতে আ.লীগ বলে কোনও দল থাকবে না’
সর্বশেষ খবর
হোসেনি দালান: কারবালার শহীদদের প্রতীকী নিদর্শন
হোসেনি দালান: কারবালার শহীদদের প্রতীকী নিদর্শন
টিভিতে আজকের খেলা (৬ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৬ জুলাই, ২০২৫)
গ্রিন-স্মিথের ফিফটিতে গ্রেনাডায় স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া
গ্রিন-স্মিথের ফিফটিতে গ্রেনাডায় স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া
ইনজুরি টাইমের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
ক্লাব বিশ্বকাপইনজুরি টাইমের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল