বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব ক্ষেত্রে একমত তা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আর যেসব প্রস্তাবে একমত হয়নি তা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। লন্ডন থেকে সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মে দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটাতে পারিনি, জনগণের সরকার গঠন করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে মানবিক করিডোরের অনুমোদনে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি জনগণ মানবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছে। বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে খারাপ সময়ে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন তারেক রহমান।’
গণঅভ্যুত্থানে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সভ্যতাই তৈরি হচ্ছে শ্রমিকদের রক্তের মধ্য দিয়ে। অথচ বর্তমানে সবচেয়ে বঞ্চিত শ্রমিকরা। শ্রমিকদের কাজের জন্য পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠা করার প্রথম উদ্যোগ নেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বিদেশেও শ্রমিকদের পাঠিয়েছেন তিনি। শ্রমিকদের জন্য সত্যিকার অর্থে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে বিএনপি।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে তারেক রহমান ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শ্রমিক দলের উপদেষ্টা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, এবি এম মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, আফরোজা আব্বাস, শিরীন সুলতানা, আমিনুল হক, মোস্তফা জামান, তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।