অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা ওয়ান ইলেভেনের সময় দেখেছি— মাইনাস টু থিওরি, আপনারা সেই থিওরির নতুন কুশীলব কিনা, এটা নিয়ে এখন ভাবার অবকাশ রয়েছে। তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন যে, বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটা বৈরিতা আছে। কিন্তু কোনও বৈরিতা তো নাই।
রবিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা তো শুরু থেকেই ড. ইউনূস সাহেবকে সম্মান দেখিয়ে শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিভিত্তিক মানুষ এটার মধ্যে জড়িত, তারা তো মাঝে মাঝেই জ্ঞান দেয়— কিন্তু পৃথিবীর কোনও বিপ্লব-আন্দোলনে এই সব বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষের কোনও অবদান নেই। আর উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন, তাদের একজন দুজন ছাড়া এই গণতন্ত্রের আন্দোলনে তাদের কারও সক্রিয় বা দূরবর্তী কোনও ভূমিকা আছে বলে আমাদের জানা নেই, অনেকে আবার দেশেই ছিলেন না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জনগণের যে নাগরিক স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত ইচ্ছার প্রকাশ সেটি হলো গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রকে আমাদের মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে যে কাজগুলো করা দরকার, সেই কাজগুলো করতে তো বেশি সময় লাগার কথা না। এখন বিভিন্ন কমিশনে যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের যিনি প্রধান আলী রীয়াজ, তিনি অত্যন্ত গুণী মানুষ, অ্যাকাডেমিশিয়ান মানুষ। তারা তো কাজ করে যাচ্ছেন তাহলে তো বেশি সময় লাগার কথা না। কিন্তু ডিসেম্বর না জুন এটা কী ধরনের।
রিজভী বলেন, বিএনপির সুস্পষ্টভাবে বলেছে— আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে। সেখানে আরও কিছু রাজনৈতিক দল ছিল। এর মধ্যে শুধু জামায়াত ইসলামী এবং এনসিপি তারা বলেছে এ সময়ের মধ্যে। এই হেয়াপনা কেন। একটা তো নির্দিষ্ট মাস আপনারা বলতে পারেন যে, এই মাসে হবে তারপর না হয়— শিডিউল ঘোষণা করলেন কাছাকাছি সময়ের মধ্যে। কিন্তু এটা এত থেকে এতের মধ্যে হবে বলে এরকম একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখে দেওয়া, এ ব্যাপারটা এখন আমরা পরিষ্কার না। এর অর্থটা কী ?
এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।