ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মসজিদমুখী তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “জনশক্তিদেরকে (নেতাকর্মী ও অনুসারী) মসজিদমুখী তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার পাশাপাশি মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে সখ্য বৃদ্ধি করতে হবে। জনপদের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি অতীব জরুরি।”
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ-২০২৪ সেশনের দ্বিতীয় সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সোমবার (২৪ জুন) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় ছাত্রশিবির।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আবদুল্লাহর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সংগঠনের সকল কাজে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। জনশক্তি, শুভাকাঙ্ক্ষী, অভিভাবক ও সাধারণের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। সংগঠনকে গণমুখী করতে এর বিকল্প নেই।”
সভায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেন, “সময় ও পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের চ্যালেঞ্জ সামনে আসে এবং বর্তমানে তা সংখ্যায় অনেক বেশি। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জসহ অতীতের চেয়ে বর্তমান সময়ে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ অনেক বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। তাই বর্তমান নেতৃত্বকে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “দাওয়াতি ময়দান ছাত্রশিবিরের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। বাংলার এ জমিন শহীদের রক্তে সিক্ত হয়েছে। এখন প্রতিটি জনপদে দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে হবে। সর্বস্তরের সকল জনশক্তিকে দাওয়াতি কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ জমিনের এক ইঞ্চিও যেন দাওয়াতি কাজের আওতার বাইরে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী আন্দোলনের জন্য সুখকর নয়। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন অতীব জরুরি। তাই আমাদের দাওয়াতি ময়দানে বিচরণ আরও বাড়াতে হবে। সংগঠনকে গতিশীল করতে ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতের বিকল্প নেই।”
কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অধিবেশনে বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম। এতে সারাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।