জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বিরোধী দলের কাজ হচ্ছে সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের এর বাইরে কিছুই করার নেই। বর্তমান সংবিধান এক ব্যক্তিকে ক্ষমতা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই হবে, যেটুকু বলবেন তার বাইরে সংসদে কিছুই পাস হবে না।’
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের এ কথা বলেন। তিনি নির্বাচন কমিশন গঠনে সদ্যপ্রণিত আইনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, ‘সার্চ কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকাটি প্রকাশ করার বিধান না থাকার ফলে শেষ পর্যন্ত সেই তালিকার সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় থাকে। সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদের ৩ দফার কারণে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার দলীয় বিবেচনায় যেকোনও ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে মনোনীত করার সুযোগ থাকবে।’
‘বর্তমান আইনটিতে যাতে উপরোক্ত সুযোগ না থাকে সেজন্য সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ এর ৩ ধারার পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দানের বিষয়টিও সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন কাদের।
তার মন্তব্য, ‘এ আইন প্রণয়ন করার ফলে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালনের ক্ষমতায়নে আগের তুলনায় কোনও উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। আগের মতোই উপরোক্ত বিষয়গুলো পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তার দাবি, নতুন করা আইনটি পুরাতন পদ্ধতিকে একটি আইনগত কাঠামোতে এনে আইনসম্মত করা হচ্ছে। এক কথায় এই আইনটি করার পরেও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগের মতো সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইমাম এমপি।