আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৮৭ আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে মনোনয়ন ফরম না তোলায় দলটির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের আসনটি ফাঁকা রাখার কথা জানানো হয়েছে।
আর জাপার দুর্গ বলে খ্যাত রংপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি রওশন এরশাদের ছেলে এবং ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাদ এরশাদকে। এখানে প্রার্থী হয়েছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির মহাসচিব মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু মনোনয়ন ঘোষণা করেন।
রওশন এরশাদের বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদ এখনও মনোনয়ন ফরম নেননি। তবে তিনটি ফরম রাখতে বলেছেন। আমরা তা রেখেছি। ময়মনসিংহ-৪ আসন আমরা খালি রেখেছি। ওইটা রওশন এরশাদের আসন। তার জন্য ওই আসন খালি রেখেছি। সাদ এরশাদ তো আমাদের কাছে ফরম চাননি। রানিং এমপি একজনকেই বাদ দিয়েছি। বাকি কাউকে বাদ দেইনি।
সাদ এরশাদ প্রসঙ্গে পার্টির মহাসচিব চুন্নু আরও বলেন, সাদ এরশাদ মনোনয়ন সংগ্রহ করেনি। এখন কেউ যদি আগ্রহী না হয় এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
এছাড়া রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ বহিষ্কৃত জাপা নেতারাও পাননি দলের টিকিট।
রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। এছাড়া ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী হয়েছে কাদেরপত্নী শরিফা কাদের। এছাড়া কিশোরগঞ্জের-৩ আসনের টিকিট পেয়েছেন জাপা মহাসচিব চুন্নু।
দলের সঙ্গে দূরত্ব থাকায় রুস্তম আলী ফরায়েজীকে বাদ দিয়ে বাকি জাতীয় পার্টির সব রানিং সংসদ সদস্যকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২৮৭ জন ছাড়া বাকি আসনের বিষয়ে চুন্নু বলেন, বাকি আসনগুলোর বিষয়ে পরে জানানো হবে। এর মধ্যে ২-৩টি আসনে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। প্রার্থী না পাওয়া আসনের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জ-৩। এই আসনে (কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন-
রংপুর-৩ আসন নিয়ে আবারও কাদের-রওশন দ্বন্দ্ব
একই আসনে লড়বেন জিএম কাদের ও আরাফাত