দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনীত সালমা ইসলাম ও নুরুন নাহার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু তাদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এবার সংরক্ষিত আসনে ভোট হবে আগামী ১৪ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদে আসন অনুপাতে এবার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ ৪৮টি ও জাপা দুটি আসন পাবে। আজ দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়ে না।
৫০ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যাদের মনোনয়ন দেবে, বাছাইয়ে বৈধ হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
এদিকে দলের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জনের মধ্যে দুজন নারী আসন পাই। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান এবং নুরুন্নাহার বেগম, জাতীয় পার্টির ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি। দুজনই আমাদের দলের পরীক্ষিত, নিবেদিত ও পুরনো কর্মী ও নেতা। তাদের আমরা নারী আসনে মনোনয়ন দিয়েছি।
চুন্নু বলেন, সংসদে অনেকেই বিরোধী দলে ছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন বর্জন করেছেন। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বর্জন করেছেন। এমনকি পার্টি প্রধান পাঁচ বছরে ১০ দিন সংসদে এসেছেন। ওই রকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কী? যদি জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারি, তাহলে সংখ্যা বড় কথা নয়। কম সংখ্যা দিয়েও কাঁপানো যায়। আমরা নির্বাচনে না আসলে কী হতো? নির্বাচন না হলে, আমরা না গেলে অগগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম হতো।
সালমা ইসলাম বলেন, দেশবাসী তো দেখেছে কীভাবে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করবো, জনগণের পাশে থাকবো। জনগণের পাশে থাকতে হবে। সমালোচনা করতে হবে।
নুরুন্নাহার বেগম বলেন, অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে আছি। সংসদে ঢুকে জনগণের কথা যেন বলতে পারি, জনগণ এটাই চায়।