জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, একজন কর কমিশনার ১৭০ কোটি টাকা মাফ করে দেন, সেখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়? এগুলো দেখলে সরকারের ইমেজ বাড়বে না। দেশের স্বার্থে এটা কঠিনভাবে দেখা উচিত।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন মুজিবুল হক চুন্নু।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, গ্রামীণ ফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির সুদ উনি মাফ করে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা হলো। তাহলে এনবিআরের চেয়ারম্যান, আর্থিক-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায় গেলেন? তারা কি এ খবরটা রাখেননি?
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঢাকা শহরের কিছু কিছু এলাকায় যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে সেবা দিয়ে আসছে। পুরান ঢাকার বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশে মিরনজুল্লা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের কথা তুলে ধরে চুন্নু বলেন, এখানে প্রায় তিন হাজারের মতো হরিজন সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন যুগের পর যুগ। তারা যে এলাকায় থাকেন, সেটা নিয়ে মার্কেট করতে চায় সিটি করপোরেশন। এ মানুষগুলো যদিও ওই জায়গার মালিক না। কিন্তু সিটি করপোরেশনের জায়গায় তারা যুগের পর যুগ আছে, তাদের আগে থেকে দাবি ছিল— বিকল্প ব্যবস্থা করে যেন তাদের উচ্ছেদ করা হয়। কালকে (মঙ্গলবার) উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদের সন্তানেরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে। যার জন্য উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। আমি সংসদ নেত্রীকে বলবো, তাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয়।
মারা যাওয়ার পর আইসিইউয়ের বিলের জন্য লাশ আটকে রাখা হয় উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ স্বল্পতা আছে। ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বড় বড় হাসপাতালে রোগী মারা যাওয়ার পরেও আইসিইউতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। দুই-তিন পর বলে, সে নাই (মারা গেছে)। পত্র-পত্রিকায় নিউজের পর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দুই-একদিন অভিযান দেখি। তারপর দেখি, ঘুমিয়ে গেছে। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টের বিষয়টি কঠিনভাবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।