করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের উদ্দেশে ছয়টি দফা প্রস্তাব করেছে সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের রাজনৈতিক পরিষদের সভায় এ প্রস্তাবনা করা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, তাদের ছয়টি দাবি হচ্ছে— এক. অনতিবিলম্বে করোনা শনাক্তকরণ ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনীয় আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বহন করতে হবে। এই ব্যাপারে সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতা কাজে লাগাতে হবে।
দুই. সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে চালু করতে হবে। ডাক্তার, নার্সসহ সব চিকিৎসাসেবীদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদেরকে জীবন বিমার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিন. আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেশের শ্রমজীবী, দিনমজুর, বস্তিবাসী দেড় কোটি পরিবারের কাছে কমপক্ষে এক মাসের খাবার ও নগদ টাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদেরকে কাজে লাগাতে হবে। আগামী ছয় মাস এই কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। চার. ত্রাণ তৎপরতায় চুরি, দুর্নীতি ও দলীয়করণ রোধে রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার নেতা ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গণতান্ত্রিক কমিটি গঠন করতে হবে। পাঁচ. আগামী ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সরকারি-আধা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা ২৫% কর্তন করে তা সরকারের করোনা তহবিলে জমা করতে হবে। বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ ও বিত্তবানদের ওপর এই তহবিলের জন্য লেভি ধার্য ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। কালো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ছয়. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই খাতে কার্যকরী বহুমুখী প্রণোদনাও ভর্তুকি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যাতে এবার বোরো ধানের লাভজনক দাম পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল।