শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণার প্রত্যাবর্তন। বারবার মৃত্যুর উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, দ্বিধান্বিত হননি। বরং আরও দীপ্তপদভারে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। রবিবার (১৭ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দফতরে শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেছেন।
ড. হাছান বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে মার্শাল ডেমোক্র্যাসি চালু করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসিত করে দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে এনেছিল। তাই ১৭ মে ১৯৮১ সালে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল না, এদিন ছিল গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’
শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ ও কর্মঠ রাষ্ট্রনায়কদের অন্যতম বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ হিসেবে অভিষিক্ত শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নন, শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তিনি আজ বিশ্বের সামনে একটি অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করার দিকে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, ’৫০-এর দশক থেকে বহু বছরের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনও কোনও বছর খাদ্যে উদ্বৃত্ত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, মহান ভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল।