১২ দলীয় জোট থেকে জামাতপন্থী লেবার পার্টি সরে যাওয়ায় বাকি শরিক দলগুলো আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছে। রবিবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ দলীয় জোটের একটি জরুরি সভায় জোটের শরিক দল লেবার পার্টি জোট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ১২ দলীয় জোটের সব নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদীর শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জোটের সংহতি পরিপন্থী আলাদা কর্মসূচি পালন, জোটের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং জোটের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে লেবার পার্টির প্রতি জোটের শরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্বস্তি বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় লেবার পার্টি নিজ থেকে জোট থেকে বিদায় হওয়ায় জোট নেতারা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আমি থাকতে তারা অভিযোগ করেনি কেন? কারও প্রতি আমার অভিযোগ নেই। যুগপৎ আন্দোলন যেদিন শুরু হয়, সেদিনও আমরা সিঙ্গেল বক্তব্য রেখেছি। গত শুক্রবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গতকাল শনিবার আমরা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। তাদের আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা তো এত দিন কোনও অভিযোগ করেনি।’
১২ দলীয় জোট থেকে সরে গেলেও বিএনপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
এর আগে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ১২-দলীয় জোট প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তফা জামাল হায়দার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৭ মার্চ শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় ‘বিগত ৩ মাসের জোটের কর্মকান্ড’ পর্যালোচনা করে ১২ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড থেকে বাংলাদেশ লেবার পার্টির অংশগ্রহণ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই লেবার পার্টি এখন ১২ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়।’