লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ৫০ লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দিয়েছেন।
রায়ের প্রতিবাদে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীন নয়। বর্তমান সরকার আদালতকে তার কাজ সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে।’
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
এলডিপি যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাকের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটি সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিতও ছিল না। সুতরাং অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে এর কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা প্রযোজ্য নয়।’
‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেছেন। তিনি ড. রেদোয়ান আহমেদের পক্ষে আদালতের সম্মুখ জেরায় কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি অভিযোগের সময়কালের অর্থাৎ ২০০১-২০০২ অর্থবছরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেননি। ২০০১-২০০২ অর্থবছরের হিসাবের খাতও তিনি পর্যালোচনা না করে অনুমানভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করেছেন।’
অলি আহমদ বলেন, ‘রেদোয়ান আহমেদ ২০০৩ সালের মে মাসের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সময়ের পর থেকে দীর্ঘ ২৩ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ড. রেদোয়ান আহমেদের কাছে কোনও টাকা পাওনা আছে মর্মে কোনও দাবি করা হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় যে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনও অর্থ আত্মসাৎ করেননি।’
এলডিপি সভাপতি উল্লেখ করেন, ‘ওয়ান-ইলেভেন সময়ের সেনা-সমর্থিত সরকারের আমলে প্রায় সব দলের প্রথম সারির নেতারাসহ দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর অন্দরে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার হলেও, বিরোধী মত প্রকাশকারীদের কণ্ঠরোধ করার অসৎ মানসে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় মিথ্যা মামলাগুলো ফরমায়েশি রায় প্রদান করিয়ে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।’