সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অনুগত দু-চারটি দলকে সঙ্গে নিয়ে আবারও একটি একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। বিরোধী দলকে বাইরে রেখে জবরদস্তির কোনও নির্বাচন এবার আর জনগণ বরদাস্ত করবে না। জনগণ রাজপথে আছে।
তৃতীয় দফায় অবরোধের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) পুরানা পল্টন থেকে মিছিল শুরু করে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও জাতীয় প্রেসক্লাব ঘুরে পল্টনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশে এসব কথা বলেন মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে তাদের অনুগত দু-চারটি দলকে সঙ্গে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তাদের অনুগত বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জবরদস্তি করে এই একতরফা নির্বাচন ব্যবস্থা করতে চায়। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে তৎপর।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত পরিস্থিতি জনগণের সামনে তুলে ধরে প্রয়োজনে পদত্যাগ করুন। অথবা নির্বাচনে বিরোধী দলসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতার পথ সুগম করতে উদ্যোগ নিতে পারেন।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ না করে দেশের মানুষের ওপর সীমাহীন দুর্ভোগ চাপিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আর একটি নীলনকশার একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। জনগণ সেটা হতে দেবে না।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সরকার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ না করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছ। এটা শ্রমিক শ্রেণি মেনে নেবে না। শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যা করেছে। দেশের জনগণ এর বিচারও একদিন করবে।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘সরকার যতোই চেষ্টা করুক আর একটি নীলনকশার একতরফা নির্বাচন দেশের মানুষ করতে দেবে না। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যতোই দমন-পীড়ন করুক রাজপথে আন্দোলন করে তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দিতে হবে।’
জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন– গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রিতম দাস।