আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় তারা। জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করবে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে দেশ ইজারা দিয়েছে তারা। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে।
তারা বলেন, দেশবাসীকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। আপনারা ভোট বর্জন করবেন। এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। সময় সমাগত, এই সরকারকে বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
সমাবেশ থেকে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে সর্বাত্মক গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন– বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।