খেলাফত মজলিস দাবি করেছে, ‘‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটিকে রাখা বিভ্রান্তিকর। দলটি মনে করে, ‘মুসলিম জাতীয়তা ও ইসলামী মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে এখানে কোনও সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না। সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে উল্লিখিত ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর।’’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় এমন মতামত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
খেলাফত মজলিস বলেছে, ‘‘দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’, ‘জনগণের অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব এবং শোষণ-জুলুম ও বৈষম্যমুক্ত আদর্শ’ থাকতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ অক্ষুণ্ন রাখা এবং কোরআন ও সুন্নাহ বহির্ভূত কোনও আইন প্রণয়ন করা যাবে না, তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।’’
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা স্বল্প সময়ের মধ্যে ৪টি সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পেশ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে নেতারা বলেন, ‘সরকারকে সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো আরও যাচাই-বাছাই করতে হবে। জুলাই
গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভেদ নয় ঐক্য, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র— এই প্রতিপাদ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার কর্তৃক দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করার মিথ্যা বয়ানগুলো পরিহার করতে হবে।’
নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন প্রমুখ