সারা দেশে নারীর ওপর সহিংসতা হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মব সৃষ্টি করে নারীদের ওপরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি দখলদারত্ব ডাকাতি ইত্যাদি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
সারা দেশে ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও হয়রানি এবং মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মনে করি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকারিতাকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। চলমান ঘটনায় তারা কোনোভাবেই নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারেন না। অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং এ রকম ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে না আনলে তা এক অশনি সংকেত হিসাবে জনগণের কাছে বিবেচিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা দেখছি, এসব ঘটনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শক্তি ইতোমধ্যেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এই প্রতিরোধকে আমরা স্বাগত জানাই। জনগণের প্রতিরোধী শক্তিই আগামী দিনে বাংলাদেশকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে।
গণসংহতির দুই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানাই। নারীরা বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের নিয়ামক শক্তি। আগামী বাংলাদেশেও তারা নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন, তাদের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির দায়িত্ব।