বাসদ মার্কসবাদী অভিযোগ করেছে, সংবিধান সংস্কার কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে, যা যথার্থ নয়। দলটির সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে এ ব্যাপারে আমাদের লিখিত মতামত তুলে ধরেছি।
রবিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা সম্পর্কে মতামত পেশ করার পর এসব কথা বলেন মাসুদ রানা।
এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা সম্পর্কে মতামত পেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী)। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুনীর হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন— দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, সীমা দত্ত, তসলিমা আক্তার ও রাশেদ শাহরিয়ার।
প্রস্তাবনার ওপর মতামতের সঙ্গে কমিশন বরাবর লিখিত চিঠিতে বাসদ (মার্কসবাদী) উল্লেখ করে, ‘আমরা গত ২০ মার্চ পাঠানো চিঠিতে বলেছিলাম যে, স্প্রেডশিটে যেভাবে টিকচিহ্নের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয়েছে, সেভাবে মতামত দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পদ্ধতিটি যথাযথ নয়।
‘বিষয়গুলো জটিল এবং বেশিরভাগ বিষয়ই ব্যাখ্যার দাবি রাখে। খুব অল্প কয়েকটি পয়েন্টে এরূপ এককথায় উত্তর দেওয়া যায়। আমরা কমিশনকে জানিয়েছি যে, আমাদের বক্তব্যটা আমরা মূলত লিখিত আকারেই রাখবো।’
‘আমরা মনে করি, এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যথেষ্ট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা ঐকমত্য পৌঁছানো জরুরি। কোন মাধ্যমে এই প্রস্তাবগুলো কার্যকর হবে সেটাও এই ঐকমত্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আগেই ১১১টি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধির সংস্কারের বিষয়ে বেশিরভাগ দলের ঐক্যমত আছে। বাকি প্রস্তাবসমূহ নিয়ে যথেষ্ঠ আলোচনা করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কারণ এখানে কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে যা জনস্বার্থবিরোধী।’
কমিশনে মতামত জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বাসদনেতা মাসুদ রানা।